ফ্ল্যাপে লিখা কথা কৌতুহল মানুষের জন্মগত ভাব, আমারও ব্যতিক্রম নয়। আমি লিখি মনের মধ্যে আর্বিভাব হওয়ার কথা, যা কাগজ আর কালি নষ্ট করা ছাড়া হয়তো কিছু নয়। কাগজের পটে লিপিবদ্ধ বিষয়গুলোর, ব্যকরণ জ্ঞান অনুসরণে যথার্থতা হয় না, গুরুচণ্ডালীর কুণ্ডলী থাকে প্রচুর। জানার ইচ্ছা থেকে কলম ধরা, সামনে এসে জড়ো হয় বিভিন্ন ভয়, শুদ্ধতায়। ছন্দের সমীকরণে অনিয়মের ছাপ আছে, কিন্তু মান নির্ণয়ে যথার্থতা আছে বলে মনে হয়। ভয়! পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টায়অ। তারপরও পাঠকের সামনে উপস্থাপনা করা প্রয়োজন, নতুবা কিভাবে জানাবো আত্মার আর্তনাদ। উক্ত আর্তনাদকে প্রতিভার বিকাশ বলতে আমি নারাজ। পেশাগত চিন্তা নয়, শুধু ভালোবাসার দোলনায় দুলতে চাই। পাঠকের ভালোবাসা পেতে মন বড় উদগ্রীব, সেই সুখে মুখরিত হবার সৌভাগ্য হবে কিনা জানিনা। আমার প্রতিটি লেখা বাস্তবতা বিবর্জিত কোন পাঁচ-বাসি ঘটনা থেকে জুড়ে দেওয়া নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে এক একটি কবিতা। চাওয়া নয়, দাবি পাঠকগণের নিকট, প্রতিটি কবিতায় আপনাদের চোখের পলক পড়ুক এক মুহূর্তের জন্য হলেও, আর পলকের জ্যোতির সঙ্গে পৃষ্ঠার আলোর মিশ্রণে ধন্য ও জীবন্ত হয়ে উঠুক প্রতিটি কবিতা। তাই প্রত্যেকটি কবিতা যদি পড়েন আপনাদের অপচয়কৃত সময়ের মাত্রা একটু বৃদ্ধি আর ধৈর্যেরবাঁধ একটু প্রশস্ত করে, তবেই হবে আমার জীবনের স্বার্থকতার মধ্যে বড়টি। যত ভুল ত্রুটি বিদ্যমান তা ক্ষমার যোগ্য মনে করলে কৃতজ্ঞ হবো সম্মানিত পাঠকগুণের প্রতি। এই বইটি প্রকাশ করার জন্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে সার্লিন, শাওন চৌধুরী, বিএম সাইফুল সহ আরো অনেক বন্ধুজন। সেই সব বন্ধুজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে ধন্যবাদ জানাই যাদের অবদান অনস্বীকার্য। সর্বোপরি পাঠকদের নিকট ‘আত্মার আর্তনাদ’ বইটি উপস্থাপন করে আমি আনন্দ বোধ করছি ও নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। ভালো-মন্দ বিবেচনার সিদ্ধান্ত পাঠকের। যে কোন ধরনের পরামর্শের জন্য দরা করে [email protected]এ বার্তা পাঠালে কৃতার্থ হব।