আগ্রা, ভারতবর্ষ, ১৬০৬ জাহাঙ্গীর ভারত উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলের বিজয়দীপ্ত শাসক, সর্বনাশ বুঝি ঘনিয়ে এসেছে। সম্পদ আর নির্মমতার কোনো মাত্রাই- মোগল সম্রাট হিসেবে দুটাতেই তার বিপুল এখতিয়ার- ক্ষমতার জন্য যেকোনো মূল্য পরিশোধে, নিজ সন্তানের অভিপ্রায় থেকে তাকে সুরক্ষা দিতে অপরাগ । গৌরবান্বিত মোগল প্রতীয়মান সিংহাসন এর অকল্পনীয় ঐশ্বর্য আর কৌটিক প্রজা সব কিছুই প্রতীয়মান রক্তপাত আর বিশ্বাসঘাতকতার যোগ্য; এর কারণে পিতার বিরুদ্ধে পুত্র অস্ত্র ধারণ করে আর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই, যাদের নির্মম নৃশংসতা। আর রোমহর্ষক ছিলনা। একে অন্যের পরিপূরক। জাহাঙ্গীর একদা নিজের পিতার বিরুদ্ধে সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছিল । সে । এখন আরেকটা সম্ভাব্য রক্তাক্ত প্রান্তরের মুখোমুখি সন্তানদের ভেতর যোগ্যতম খুররম | সর্বনাশের তখনও সম্ভাবনা শেষ হয়নি। মহান তৈমুরের উত্তরাধিকানীরা সবাই যেমন বুদ্ধিবৃত্তি, শারীরিক দক্ষতা আর চরম নির্মমতার অধিকারী। একই সাথে আফিম আর সুরার প্রতি রয়েছে তাদের সবারই সমান দুর্বলতা। জাহাঙ্গীর তার প্রতিভাবান স্ত্রী মেহেরুন্নিসাকে একবার পরীক্ষা করতে চায় । কিন্তু সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেয়ার জন্য সে বডডবেশি আগ্রহী । তার আগ্রহ এতটাই প্রবল যে সিংহাসন নিজের কুক্ষিগত রাখতে সে খুররমের অল্পবয়সী সন্তানদের বন্দি করতে দ্বিধাবোধ করে না । আর অন্যদিকে খুররম আর তার অন্য সৎভাইয়েরা প্রত্যেকে তখনও তাদের পিতার উত্তরাধিকারী হতে কৃতসংকল্প হওয়ায় মোগল সিংহাসনের জন্য আরও ৷ পূর্বে যেকোনো সময়ের চেয়ে নৃশংস রক্তাক্ত যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে- যা হয়তো স্বয়ং তৈমুরের পক্ষেও কল্পনাতীত।
Sadekul Ahasan Kollol সাদেকুল আহসান কল্লোল অনুবাদ সাহিত্য দিয়ে যার যাত্রা শুরু । হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক । নিজের আগ্রহেই শুরু করেছেন অনুবাদ । ইচ্ছে ইউরোপের নানা ভাষার উপন্যাস অনুবাদ করে সাহিত্যের একটা বিপণন অবস্থা চালু করা, সবার মতামত সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই । নরওয়ের লেখিকা- কি লিখছে আমরা জানি না, জানতে কিন্তু চাই তেমনি তাকেও জানাতে চাই আমাদের সাহিত্যের কথা । এই স্বপ্ন নিয়ে অনুবাদে হাত দিয়েছি। দেখা যাক কি হয়!