প্রিয় রোমানা , গতকাল রয়েল মেইলে তোমার চিঠি পেয়েছি । চিঠি হাতে পেয়ে অনেকটাই চমকে উঠেছি । কতদিন পর তোমার চিঠি ; তাও আবার কবিতার মত করে লিখেছ। তোমার চিঠিতে দমকা হাওয়ার পরিবর্তনের সাথে তোমারও বদলে যাওয়ার কথা। তুমি চিঠিতে লিখেছ, “অন্বেষাকে ভুলে গেছি কিনা”?
প্রিয় রোমানা, শত চেষ্টা করেও ভুলতে পারিনি ! আর কেউ না জানুক , আমার পাশে রাখা হেলজিন হিটার জানে, তিব্র শীতের অসংখ্য রাত্রিতে সেই ভুলতে না পারার ইতিহাস । আমার এই দু’ হাত যার অদৃশ্য শরীর আজও যাকে স্পর্শ করে, সে আমার অনিন্দ্য সুন্দরী , অন্বেষা । লন্ডনের রমফোডে ভায়োলিনের সুরে আজও জাকে কল্পনাই ভাসায় , সে অন্বেষা। লন্ডন ডেগেনহামের সোডিয়াম লাইটের দিকে তাকিয়ে হ্যান্ড রোলিং টোব্যাকোর স্বাদ নিতে নিতে যাকে ভাবি , সে আমার অন্বেষা। পৃথিবীর সব চেয়ে কঠিন কাজ ভুলে থাকার চেষ্টা করা । লন্ডনের শত পশরা জানে আমার জেগে থাকার প্রতিটি রাত্রির কষ্ট! তুমি আরও জানতে চেয়েছ, লন্ডনে কেমন আছি? সত্যি বলতে এলোমেলো পড়ে আছি এই ইংলিশ শহরে। লন্ডন খুলে দিয়েছে আমার আত্মার চোখ। লন্ডনের সৌন্দর্য আমাকে করে তুলেছে কবি। দমকা হওয়া পরিবর্তনের সাথে আমিও একটু বদলে গেছি। তবে তোমাদের কাছে বদলায়নি একটুও। ভাল থেকো, এই প্রত্যাশায়......।
নিশো আল মামুন ১৯৮৬ সালে জামালপুর, বকশিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। বাবা মোঃ শাহজামাল (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ১১নং সেক্টর) এবং মা সুলতানা রাজিয়া। তিনি বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ পুত্র। স্ট্র্যাটিজিক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন।কলেজ জীবন থেকেই মেতে উঠেন গ্রুপ থিয়েটার নিয়ে। অমিমাংসীত সমাপ্তি (প্রকাশকাল ২০১২ সাল) উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ।তিনি ২০১৬ সালে আমরা কুঁড়ি (জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন) সহিত্য সম্মাননা লাভ করেন এবং ২০১৯ সালে পচ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা মৈত্রী লেখক সংসদ সাহিত্য সম্মাননা’ লাভ করেন। নিশো আল মামুন এর প্রকাশিত উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থের মাঝে রয়েছে অমিমাংসীত সমাপ্তি, ভোরের ঝরা ফুল,জ্যোৎস্নার বিয়ে, নিখিলের নায়ক, বসন্ত দুপুরের নীলাকাশ, গৃহত্যাগী জোছনা, নীল আকাশের নীচে, কছে দূরে,শেষ স্পর্শ, সুখের গহিনে শোক,নীল সপ্ন,জোছনায় ফুল ফুটেছে, মানুষছবি ।