ফ্লাপে লিখা কথা ছুটির দিন একটু আরাম করে ঘুমাতে চাইলেই কি ঘুমানো যায়? স্ত্রী-সন্তানদের একটুখানি সময় দিতেই হয়। তাদের পাল্লায় পড়ে যেতে হতে পারে পশুপাখির দোকানে । সেখানে পড়তে হতে পারে বিড়ম্বনায়। সে এক ধুমধাড়াক্কা!.. শেষে স্বস্তিকর চমক।
ক্ষৌরকার শিবুকে দিয়ে চুল কাটাবের রা ইমরান। কিছুতেই না। ছল করে সেলুন থেকে বেরিয়ে আসে সে। তারপর কী ঘটল..? ‘নরসুন্দর’ গল্পটি পড়লে জানা যাবে।
রাজধানীতে কখন ভূমিকম্পন হয়-এ নিয়ে আতঙ্কে আছেন আহাত মামা। এর মধ্যে ভাগ্নে অনিম গিয়ে বাধিয়ে দিলি ভজঘট। শেষে ভূমিকম্প ছাড়াই ঘটে গেল অঘটন! এমন ১৫ টি ভিন্ন স্বাদের গল্প আছে বইটিতে । গল্পগুলোএত রস তো আছেই, সব শেষে আছে ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’র স্বাদ।
ভূমিকা এই সংকলনের বেশির ভাগ গল্প এর আগে প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র + রসআলোর বিভিন্ন সংখ্যায় ছাপা হয়েছে। গল্প লেখার বিষয়টপা আমাকে চুম্বকের মতো টানে । বিশেষ করে রসগল্প। মাঝে মধ্যে ভাবি, এসব লিখে কি লাভ? এই ভাবনার মধ্যেই লেখার দুরন্ত ইচ্ছা টানতে থাকে। মৃদু সুবাসের মত সুড়সুড়ি দেয় নতুন কোন লেখার খোরাক। দোনামনায় ভূগি, যা লিখতে চাইছি তা পারব তো? লিখতে তা পড়ার মোত কিছু হবে তো? এসব ভাবতে ভাবতেই গল্প লেখা হয়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকটি গল্প লেখার রসদ পেয়েছি ওয়েবসাইটে পড়া বিদেশী গল্প থেকে। এগুলো হচ্ছে কঠিন, মূকাভিনয়, ভূতুড়ে, একহাত, বিশুদ্ধ পানি, কুস্তির প্যাঁচ ও ভজঘট। গল্পগুলোর মধ্যে একটিও যদি পাঠকের ভাল লাগে, তবেই আমার লেখা সার্থক। শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
ছোটদের জন্য অনেক দিন ধরেই লিখছেন । তাঁর গদ্য বিষয়-বৈচিত্র্যে ভরপুর । কোনো গল্পে থাকে রহস্য, বা চিরচেনা আটপৌরে জীবন । এপর্যন্ত তার ৩৫টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাতি নিয়ে হইচই, বিলের ধারে নীলভূত, পরীক্ষার মন্ত্র, ছোটদের হাসির গল্প, বিড়ালের মমি, খিলটুসের খপ্পরে, জীবন্ত দুঃস্বপ্ন, পটলভাইয়ের টার্টল মিশন, পটলভাইয়ের প্রনীেপ, তিতলির বংশধর । নিজের লেখা বই ছাড়াও তার কিছু অনুবাদ গ্ৰন্থ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে। লর্ড অভ দ্য ফ্লাইজ, হেইডি, ট্রেজার আইল্যান্ড, মবিডিক, দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অব টম সয়্যার ।