ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমি মানবতায় বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি মানবতার মাঝে সব কিছুই বর্তমান। সম্মান করি মানুষকে। বিশ্বাস করি; ‘মানুষ প্রতিটি জীবের জন্য, শুধু মানুষ মানুষের জন্য নয়”। যেহেতু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে বিবেচিত, তাই মানুষের প্রতি প্রতিটি জীবের আছে অনেক চাওয়া পাওয়া। তাই প্রতিটি জীবকে রক্ষা করার দায়িত্ব মানুষকেই নিতে হবে। অন্যান্য জীব যেখানে স্বাভাবচারিত হয়ে জীবন যাপন করে, সেখানে শুধুমাত্র মানুষেরই আছে সৃষ্টিশিলতা। মানুষের পক্ষ্য থেকে কোন জীবকে কষ্ট দেয়া উচিৎ নয়। মানবতা হলো প্রেম ভালবাসার আধার। মানুষ সহ সকল জীবের প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তৈরি হয় ভ্রাতৃত্ববোধ। পৃথিবী যতটুকু সুন্দর এবং শান্ত আছে, তা এই ভ্রাতৃত্ববোধের ফসল। আমি চেষ্টা করেছি মানবতা আর ভালবাসাকে স্ব কিছুর উর্ধ্বে নিতে। আমি কত টুকু পেরেছি, আমি জানিনা। যদি এই বইখানি পড়ে, একজন ব্যক্তিও তার মানবতাকে জাগ্রত করতে পরে, তৈরি হয় ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, তাহলেই আমি আমাকে স্বার্থক মনে করব।
বই খানি লিখতে, যিনি আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন, সেই ব্যক্তির প্রতি আমি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি, যার নাম কাজী মুজিবুল হক, ব্যবসায়ী এবং একজন রাজনীতিবিদ, খুলনার বাসিন্দা। যারা এই বইখানি লিখতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, যারা আমার চলার পথের প্রেরণা হিসাবে কাজ করে, সম্পা আকতার ও লায়লা সুলতানা এবং আমার অতি আপনজন, দুখের দিনের সাথী প্রশান্ত কুমার গাইন। সার্বিক সহোযোগিতার জন্য বন্ধু হুমায়ূন কবির ও চঞ্চল মজুমদার।
আমি সেই ব্যক্তিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি, যাঁর সংস্পর্শ না পেলে হয়ত আমার লেখা প্রকাশ পেতো না, সেই মহান ব্যক্তি এবং বিশিষ্ট লেখক বি এম সোহেল সাভারী, যিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম একক বাণী চিরন্তনী ‘অগ্নি ঝরণা’ রচনা করে পাঠকের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁর এই সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যে এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস। আমি সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি বিশেষভাবে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা আমার এই বই খানি শুধুমাত্র গল্পের মত না পড়ে, কিছু আহরণ করবার চেষ্টা করবেন, তাদের প্রতি।
প্রথম প্রকাশিত বিধায়, বিইটিতে ভুল থাকার অতি স্বাভাবিক। যদি কোথাও কোন রকমের ভুল বা বিভ্রান্তিকর কোন কথা বা লেখা, কারও মনে কষ্টের কারণ হয়, তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আমি অনুরোধ করছি।