পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ বাঁচে আর বাকী সবাই বাঁচার চেষ্টা করে। যারা বাঁচতে জানে তারাই পরিণত হন অনুস্মরণযোগ্য কিংবদন্তি অগ্নিপুরুষে। সমস্ত পৃথিবীটাই আবর্তিত পরিবর্তিত হতে থাকে। নতুন করে রচিত হতে থাকে ইতিহাসের অজানা পাতা। ধরিত্রীর প্রতিটি মানুষকেই অগ্নিপথ পাড়ি দিতে হয়। তার সম্মুখে সর্বদা বিরাজমান অগ্নিবিছানো পথ। এই অগ্নি ঠিকড়ানো অনলপ্রবাহের তপ্ত প্রবাহ পাড়ি দেওয়াই স্বপ্নবাজ জীবনের শুধুমাত্র এবং একমাত্র স্বার্থকতা। জীবনের প্রতিমুহূর্তে প্রতিপদক্ষেপে জ্বলে পুড়ে শুদ্ধ হওয়ার মাঝেই মায়াবী জীবনের অমিয় নির্মলতা। অগ্নিপথের পথিক হয়ে নিশ্চুপ ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেই সত্য শুদ্ধতা। মানুষ প্রায়ই অসীম কষ্টের ভারে আপাদমস্তক দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায়। হন্নে হয়ে রক্তভেজা চোখে আশ্রয় খোঁজে। ভাবে, কোন মহাপুরুষ দেবদূত এসে অসহ্য যন্ত্রণার মুহূর্তগুলোকে অনাবিল প্রশান্তি আর নির্ভার আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেবে। বাস্তবে যখন তা না ঘটে তখনই সে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে পরাজিত ভাবতে শুরু করে। অগ্নিপথ পাড়ি দিতে হলে নিজের ভেতরের ভগবান কে জাগিয়ে তুলতে হবে। স্বপ্নগুলোকে কখনোই কোনোভাবে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। নিজ হাতে স্বপ্ন বির্নিমান করতে হবে। এমন স্বপ্ন তৈরী করতে হবে যে স্বপ্নের তীব্রতায় মানুষ ঘুমাতে পারে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য ছটফট করতে থাকে প্রতিটি প্রহর।