ফ্ল্যাপে লিখা কথা নিস্তরঙ্গ জলরাশি- দু’পাশে সারি সারি সাজানো কাশবন-নির্মল আকাশ-জলে নীল আকাশের ছবি-সাদা মেঘের কাঁচুলী নগ্ন আকাশের বুক ঢেকে আছে। আকাশের নীলাভ নরম বুকে কখনও কখনও খণ্ড খণ্ড কিছু মেঘকে ভেজা ভেজা তুলা, পাহাড়, দ্বীপ অথবা মানচিত্রের মত মনে হয়। সন্ধ্যায় জোনাকীর নিভু নিভু প্রদীপ-ঝিঁ ঝিঁ পোকার অবিরাম ডেকে চলা-ছলাৎ করে জেগে ওঠা দু’একটা জলঢেউ যে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সৌখিন মাঝি, সৌখিন জেলে অথবা বিকালটুকুর সৌন্দর্য ভাগ করে নেওয়া অতিথি মানুষগুলো অথবা শেষ বিকালের ঘরে ফেরা পাখিরা জলপোকা মুখে নিয়ে উপভোগ করে জলডাঙ্গার জলবেষ্টিত দোয়াল্লীর চরের প্রকৃতি। জলাঙ্গীর স্নিগ্ধ ভেজা বাংলার লালিমা মাখা গোর্ধলীবেলায় বলাকারা সারা দিনের কর্মক্লান্তি নিয়ে নীড়ে ফিরে যায়। আঁধার নামে ধরে ধরে, দিগন্তে ঘুমাতে যায় ক্লান্ত সূর্য। বাঁকা চাঁদ সূর্যের আলো ধার করে রাখে দিনের বেলা; রাতে জোৎস্নায় ভরে দেয় জল আর কাঁশফুলে ঘেরা মাঠ, ঘাট আর গল্পে ভরা আঙিনা। রাতে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকে শিমুলের ডালে অথবা নিমপেঁচা বসে থাকে নিমডালে। অমাবশ্যায় গায়ের জলপথে ধরে ধীরে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক আঁধার প্রকৃতিকে করে আরো ভীত সন্ত্রস্ত যে, স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির এই অন্ধকারে অনন্তের পথে চলেছি শরতের এই জল পথ ধরে।