ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমাদের পরম আদরের সন্তানেরা যখন অসুস্থ হয়, তখন দুশ্চিন্তার সীমা থাকে না। মা-বাবাদের সেই দুশ্চিন্তা লাঘবে যথেষ্ট সাহায্য করবে এই বইটি। চিকিৎকের কাছে না গিয়ে কিভাবে ঘরে বসেই শিশুর চিকিৎসা করা যায় তা জানা যাবে এই বই থেকে। একটি শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে তার যত্ন ও লালন পালনের বিস্তারিত তথ্য আছে এতে। বুকের দুধ কমে গেলে কি করবেন, শিশুর বুদ্ধি ও ওজন কিভাবে বাড়াবেন, বচ্চা খেতে না চাইলে কি করবেন -ইত্যাদি বহুল আলোচিত প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে বইটিতে। বইটি মূলত শিশুর যত্ন নিয়ে হলেও তাদের কিছু রোগ ও সেসব রোগের চিকিৎসা এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এতে। বইটি অনেক ধারনা বা বিশ্বাসকে পালটে দিবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কঠিন ভাষা পরিহার করে, সহজ সরলভাবে লেখা বইটি সবার জন্য হৃদয়গ্রাহী হবে নিঃসন্দেহে।
ডা. আবু সাঈদ শিমুল, জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার লড়িহরা গ্রামে। মা-রোকেয়া বেগম, বাবাআবুল কাশেম চৌধুরী। এমবিবিএস পাশ করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে । বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। ডা. আবু সাঈদ শিমুলের শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখালেখির শুরু ছাত্র অবস্থা থেকেই। তা আরও বেগবান হয় একটি জাতীয় দৈনিকের স্বাস্থ্য পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হওয়ার পর থেকে । সময়ের সাথে সাথে লিখতে থাকেন। দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল, সকালের খবর, আমার দেশ, ডেইলি স্টার সহ অসংখ্য পত্রিকায় । লিটেল ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও সাংবাদিকতা করেছেন ছাত্র অবস্থায়। লেখালেখি ছাড়াও বিতর্ক ও আবৃত্তিতে লেখক সমান পারদর্শী । ২০০০ সালে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বক্তা হন। প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব। সিলেট জেলা ডিবেটিং সোসাইটিরও সভাপতি ছিলেন তিনি। আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। এ পর্যন্ত লেখকের স্বাস্থ্যু বিষয়ক তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং সবগুলোই পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে ডা. আবু সাঈদ শিমুল এক সন্তানের জনক (ইয়াদ বিন সাঈদ)। তার সহধমীনী ডা. ফারহানা হােসেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং একটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক।