ফ্ল্যাপে লিখা কথা বহু বছর পর শিশিরকে দেখে খুবই আশ্চর্য হয় শাহেদ। শিশিরও অবাক হয় এক সময়ের অস্ত্রের রাজনীতিতে ক্যাম্পাসের আতঙ্ক শাহেদের আমূল পরিবর্তনে। আড্ডায় বসে শিশিরের হঠাৎ হারিয়ে যাওয়ার গল্প শুনে শাহেদের মন ভারী হয়ে ওঠে। মামাতো বোন রূপাকে ভালবাসার কারণে এতিম শিশিরকে বিতারিত হতে হয় মামার বাসা থেকে। আশ্রয়হীন শিশির চলে যায় চিটাগাংয়ে। সেখানে এক বন্ধুর সহযোগিতায় টিউশনি করে পড়াশুনাটা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ফিরে আসে রূপার কাছে। কিন্তু এসে জানতে পারে রূপা অনেক আগেই বাবা মার ওপর অভিমান করে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছে। রিক্ত হাতে শিশির ফিরে আসে ঢাকায়। দেখা পায় শাহেদের। জানতে পারে শাহেদের পরিবর্তরেন পেছনে যে মানুষটি জড়িয়ে আছে সেই ছোঁয়ার কথা। ইউনিভার্সিটির বন্ধু ছোঁয়াকে যেন আজো বুঝতে পারে না শাহেদ। ছোঁয়ার কারণেই তার এই বদলে যাওয়া। শিশিরের সঙ্গে ছোঁয়ার পরিচয় করিয়ে দেয় শঅহেদ। আর পরিচয়ের দিন থেকেই ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। এতদিনের লালিত স্বপ্নের অপমৃত্যু অনুভব করে বেপরোয়া হয়ে ওঠে শাহেদ। পুরনো রূপে ফিরে যায় ও। আলমারি থেকে অনেক দিনের অব্যবহৃত রিভলবারটা সঙ্গে নিয়ে শিশির আর ছোঁয়াকে নিয়ে বেরিয়ে যায় লং ড্রাইভে।