ফ্ল্যাপে লিখা কথা জিম্বাবুয়েতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লেখক পর্যবেক্ষণ করেন কাঠকয়লার অগ্নিবৃত্তে চিত্রিত ঢাল ও বল্লম নিয়ে বৃষ্টির প্রত্যাশায় দাঁড়িয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের কজন কবিকে। সবুজাভ পাথরের মূর্তি নিয়ে সঙ্গোপনে এসে দাঁড়াও বাসস্টপে। বিউটি সেলুনে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় দেশটির সাম্প্রতিক কালের আন্ডারগ্রাউন্ড লেখকদের সঙ্গে। কিছুদিন বাস করেন উৎখাত হওয়া শ্বেতাঙ্গ এক চাষির পোড়ো বাংলোয়। দেখা হয় বিলাতের মেয়ে ব্লসমের সঙ্গে, যে ফ্রেস্কো আঁকতে আঁকতে মাটোপস হিলে আত্নহরনের কথা ভাবে। গাঁয়ের বিপন্ন কজন মানুষ তাম-না-তাম ঢোলক বাদ্যের ভেতর হরিণের রক্তে মদ মিশিয়ে নালিশ জানাচ্ছে তাদের রাজাধিরাজের সমাধিতে। অনটনে অতীষ্ঠ ক্রিস্টিনা পাচার করে সম্পত্তি হারানো এক শ্বেতাঙ্গ লেখকের পাণ্ডুলিপি। অন্ধ মাকে যু্ক্তরাষ্ট্র থেকে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতে নিয়ে আসার জন্য সে টাকা জমাচ্ছে। একটু আগেও পিয়ানো বাজিয়েঝে সালানিনি। বিদায জানাতে গিয়ে আসন্ন মৃত্যুর ছায়ায় লক্কা পায়রার মতো শরীর ঘুরিয়ে খোশমেজাজে গুনগুন করে গান গায় সে। এ বইয়ের মানুষগুলোকে পাঠক সহজে ভুলতে পারবেন না।
জন্ম ১৯৫৬ সালে, সিলেট জেলার ফুলবাড়ী গ্রামে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি ।খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস-এর। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। শিক্ষকতা, গবেষণা ও কনসালট্যান্সির কাজে বহু দেশ ভ্ৰমণ করেছেন। বর্তমানে সিয়েরা লিওনে বাস করছেন।প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।