ফ্ল্যাপে লিখা কথা “তবু মুশফিকদের সালাম। তোমাদের সঙ্গে অদৃশ্যে মিশে থেকে আজ আমরা স্বর্গে যেতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম তোমাদের ঘামকে আনন্দাশ্রু বানাতে। কিন্তু তার বদলে যে অশ্রু ঝরালে সেটা দুঃখের রঙে নীল। কিন্তু এমন হৃদয় নিংড়ানো কান্নাই বা আমরা করে কাঁদতে পারি! আর তার আগে যে কত হাসিয়েছে! কত ভাসিয়েছে! কত নাচিয়েছে!
ম্যাচশেষে আতশবাজি হচ্ছে। বিপুল আয়োজন । ঠিক যেন জমছে না। বেদনার নীল রং, বোবা কান্না, রক্তাক্ত হৃদয় যে তাতে মিশে আছে! কিন্তু আতশবাজির জন্য পুরো পরিবশেটাকে যেমন ঘোরান্ধকার করে ফেলা হয়েছে তাতে শেষ সময়ের দুঃস্বপ্নটা বিসর্জন দেই না কেন! তাহলেই আলো থাকে। স্বপ্ন থাকে। জাদুর দিনগুলি টিকে থাকে। শেষটা ভুলে যাই । মনে করি একটা দুঃস্বপ্ন । মনে করি এমন কিছু ঘটেনি। ক্ষীণ ব্যর্থতাটা অন্ধকারে হারাক। আরোটা ছবির, ছন্দের আর সুন্দরের বাংলাদেশকে বুকে ধরে রাখুক।” “বার্সেলোনার ম্যাচের দিন শহরটা তৈরি হয় তার নিজস্ব রুটিনমতো। স্প্যানিশদের কাছে সিয়েস্তা বা দুপুরের ঘুমটা খুব জরুরি বিষয়। সেজন্যই বোধহয় তাদের অফিস সময় সকাল ৭টা বা ৮টা পর্যন্ত। তারপর বাসায় ফিরে সিয়েস্তা। শেষ করে সৌভাগ্যবানদের যাদের টিকিট আছে তারা ন্যু ক্যাম্পে। ধারণক্ষমতা ১ লাখেরও বেশি কিন্তু ১৬ লাখের লোকের শহরে সবার তো আর সেই সুযোগ নেই। বাকি ১৫ লাখ ! মোটেও ঘরে নয়। সবাই বারে বা পাবে। সেখানে হৈহুল্লোড় করে ফুটবল খেলা দেখা। জিতলে সেই হুল্লোড় শেষ হতে চায় না। আর হারলে ! অভিজ্ঞতা থেকেই স্থানীয় বাঙালি হাবিব ভাই বললেন, ‘একটা শব্দও শোনা যাবে না কোথাও। মনে হবে যেন একটা ভূতের বাড়ি।’ ফুটবলের সঙ্গে জীবনাচার এভাবে একাকার করে ফেলা শহরে বসে অপেক্ষায় প্রহর গুনছি।”
সূচিপত্র * আমাদের ভালোবাসা আমাদের প্রার্থনা * স্বপ্নডুবি আমরা শপথ করছি * প্রতিভা প্রসঙ্গে * বাংয়লাদেশ পয়সা লিগ! * আরেক দফা বিপিএল * শুদ্ধিকরণ অথবা ক্রিকেটীকরণ * আকরাম এবং.. * ইটস অ্যান এশিয়ান গেম * আমাদের সাক্ষী রেখেই তাঁর অমর কীর্তি * সালাউদ্দিনকে লাগবেই * ফুলের দিনে পর বার্সেলোনায় ফুটবলের দিন * বিষণ্ন বার্সেলোনায় সুন্দরের সূর্যাস্ত * যেন মণি-মুক্তা ভরা এক সিন্দুক * বিত্ত, সুন্দর আর সুখের শহরেই ফিফাকে মানায় * কালচোর শহরে বাংলাদেশিদের ধাক্কা * দাবায় নিয়াজদের লড়াই * ইউরো চ্যাম্পিয়ণশিপ * ইউরোশিক্ষা * শূন্য শূন্যস্থান * স্বপ্নের -দুঃস্বপ্নের অলিম্পিক * আতার পাতানো * ভেরি ভেরি স্পেশাল * মহিলাদের খেলা * টি-টোয়েন্টির দুই শিক্ষা * কীর্তিমান এবং....... * পাইবাসের পর ... * ২০২২ * ব্যক্তিগত * স্বপ্ন যেদিন সত্যি হয় * বিজয়ের পুনর্পাঠ
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!