ফ্ল্যাপে লিখা কথা হুমায়ূন আহমেদের সাথে বৃষ্টি ও জোছনার গভীর মিতালি গড়ে উঠেছিল। তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাকে না পেয়ে বৃষ্টি ও জোছনা কড় একা হয়ে গেছে। প্রিয় বন্ধুকে হারানোর বেদনায় কোনো কোনো গভীর রাতে অঝর ধারায় কাঁদতে থাকে। একদল বন্ধু। সবাই হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত । বড় আনন্দময় ছিল তাদের দিনগুলি। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে প্রিয় লেখকের বই পড়ত আর বৃষ্টিওতে ভিজত ও জোছনা রাতে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু প্রিয় মানুষটাকে হারিয়ে তারা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। বিষণ্নতা নেমে এসেছে তাদের জীবনে।
ভূমিকা আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। বড় ইচ্ছা ছিল তাকে সামনাসামনি এক নজরে দেখার। এই বইমেলায় (একুশে বইমেলা ২০১৩) দেখতে পারব বরে একটা ভাললাগা শুরু হয়েছিল একসময়। কিন্তু আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হল না। তিনি বইমেলার আগেই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তাকে দেখতে পারলে এই বইমেলাটা আমার কাছে আজীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকত। কিন্তু তা যখন হলো না তখন তাকে স্মরণ করেই এই উপন্যাসটি লিখলাম। অনেক লেকা থাকলেও প্রথম প্রকাশ করলাম এই বইটা । ফলে আজীবন মনে থাকবে। হুমায়ূন আহমেদ এত বড় একজন মানুষ যে, তাকে স্মরণ করে লেখা আমার পক্ষে কঠিন ছিল। তাছাড়া এই অল্পপরিসরের মধ্যেও অসম্ভব ছিল। কোনো ভুল হলে কিংবা অসংগতি হলে পাঠকরা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি। ধন্যবাদ। প্রদীপ হালদার