ফ্ল্যাপে লিখা কথা সাতটি গল্পের একেকটি একেক স্বাদের। ‘ছাদের ওপর কে’ গল্পটি পড়লে মনে হতে পারে আহা! তন্ময় ছেলেটা ওই মই বেয়ে ছাদে উঠতে গেল কেন? ‘কঙ্কালের মেলা’ পড়ে আফসোস হতে পারে সাংবাদিক আসিফের জন্য। আর ‘রহস্যময় মহিন’ , রুশার টের পেয়েছে তার সেই হাসির মর্ম! কুড়িয়ে পাওয়া একটা ‘বিড়ালের মমি’ কীভাবে হঠা্ৎ জ্যান্ত হয়ে উঠল, তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাবে গল্পটি পড়লে । বাকি গল্পগুলোর কথা আর নাইবা বললাম, পড়ার জন্য সাহস সঞ্চয় করো.....
ভূমিকা ভূত আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাই বলে যে ভূতের ভয় একেবারে নেই , তা বলব না। ভরা সাঁঝে বুনো পরিবেশে পুরোনো দিনের শানবাঁধানো কোনো পুকুরপাড় বা ছাতলার গন্ধে ভরা পুরোনো কোনো নির্জন বাড়িতে মোমজ্বলা সন্ধ্যায় একলা থাকা- ভাবতেই কেমন গা ছমছম করে ! এমন ভয় অনেকেরই আছে। কেউ স্বীকার কের , কেউ স্বীকার করে না। তবে এই ভয়ের মধ্যে এক ধরণের রোমাঞ্চ রয়েছে, যা অনেকরই পছন্দ। তাদের সেই মজা দিতেই এসব ভূতের গল্প লেখা। শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
ছোটদের জন্য অনেক দিন ধরেই লিখছেন । তাঁর গদ্য বিষয়-বৈচিত্র্যে ভরপুর । কোনো গল্পে থাকে রহস্য, বা চিরচেনা আটপৌরে জীবন । এপর্যন্ত তার ৩৫টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হাতি নিয়ে হইচই, বিলের ধারে নীলভূত, পরীক্ষার মন্ত্র, ছোটদের হাসির গল্প, বিড়ালের মমি, খিলটুসের খপ্পরে, জীবন্ত দুঃস্বপ্ন, পটলভাইয়ের টার্টল মিশন, পটলভাইয়ের প্রনীেপ, তিতলির বংশধর । নিজের লেখা বই ছাড়াও তার কিছু অনুবাদ গ্ৰন্থ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে। লর্ড অভ দ্য ফ্লাইজ, হেইডি, ট্রেজার আইল্যান্ড, মবিডিক, দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অব টম সয়্যার ।