"টনি ব্লেয়ার অ্যা জার্নি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বর্তমান সংকট-বিপর্যয়ের সময়ের সঠিক নেতৃত্বদানকারী নেতা। ১৯৯৪ সালে লেবার পার্টির নেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে দলকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে লেবার পার্টি সর্বাধিক সংসদ সদস্য পায় । দীর্ঘ আঠারাে বছরের রক্ষণশীলদের শাসনের অবসান ঘটে। তাঁর নেতৃত্বে লেবার পার্টি পর পর তিনবার জয়লাভ করে এবং তিনি দুই দশক প্রভাবশালী রাজনীতিক হিসেবে স্বমহিমায় রাজনীতিতে পদচারণা করেন। অ্যা জার্নি টনি ব্লেয়ারের নিজস্ব জবানীতেই তাঁর সরকারের এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের পৃথিবীতে পরিবর্তন এনেছে- সেটা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু থেকে সন্ত্রাসবিরােধী যুদ্ধের বিষয় তিনি অকপটে তুলে ধরেছেন তাঁর এই বইয়ে। দেশের অভ্যন্তরে তাঁর সহকর্মী গর্ডন ব্রাউন এবং পিটার ম্যান্ডেলসন, উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলােচনার কথা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে তাঁর অবিরাম সংগ্রাম, বিশ্ব রাজনীতির পরিসরে তার পদচারণা- নেলসন ম্যান্ডেলা, ক্লিনটন, পুটিন এবং বুশের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন তার বিশ্বাস নৈতিকতার কথা- কসােভাে, সিয়ের লিওন, আফগানিস্তানে কী দায়িত্ববােধ থেকে তিনি যুদ্ধে জড়িয়েছেন। অ্যা জার্নিতে রাজনৈতিক শক্তির প্রকৃতি ও ব্যবহারের কথা আছে। সততার সাথে ভালাে-মন্দের কথা এবং তা আছে বিস্তারিতভাবেই। টনি ব্লেয়ার তাঁর রাজনীতি জীবনের সফলতার কথা বলেছেন আবার তেমনি বলেছেন টানাপােড়নের কথা। এই বইটিতে তাঁর জীবন, রাজনীতিক ও কূটনৈতিক হিসেবে তাঁর গড়ে ওঠার অনুপুঙ্খ বর্ণণা আছে। বর্ণনা করেছেন রাজনীতিক হিসেবে তাঁর নানা চ্যালেঞ্জের কথা এবং বলেছেন কেন তিনি জনগণের অভিমতের ওপর গুরুত্ব দিতেন। বৃটেনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও বিশ্ব রাজনীতিতে বিভিন্ন সংকটের মােকাবেলায় তার ভূমিকার কথা বলেছেন টনি ব্লেয়ার তাঁর আত্মকথায়। খুব কম বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মতাে জাতির ভাগ্য নির্ধারণে, পরিবর্তনে ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, আলােচনা হতে পারে কিন্তু পরিবর্তনগুলাে অস্বীকার করা যাবে না। তার সম্পর্কে অনেক লেখা হয়েছে এবং লেখা হচ্ছে, কিন্তু নিজ সম্পর্কে তাঁর লেখার কোনাে তুলনা হতে পারে না। এই বইটি বিশ্বের সমকালীন ইতিহাসের এক অসমান্য দলিল, তার পদচারণা- অ্যা জার্নি, তাঁর কথায়।
Tushar Talukdar: ইংরেজি সাহিত্যে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির ইংলিশ ও মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জাতীয় বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক এবং লিটল ম্যাগাজিনে সাহিত্য-বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে থাকেন। অনুবাদকর্মে রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। করেছেন বহু সাক্ষাতকার, কবিতা এবং গল্প অনুবাদ। তার লেখা কতিপয় গবেষণামূলক প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রকাশনার মধ্যে রয়েছেঃ ১. নির্বাচিত নোবেল বিজয়ীর দশটি সাক্ষাতকার: নেরুদা থেকে ট্রান্সট্রোমার; ২. অ্যা ব্লু নোটবুক (ইংরেজি প্রবন্ধ সংকলন); ৩. শব্দচিত্র (প্রবন্ধ সংকলন); ৪. যৌথভাবে অনূদিত অ্যা জার্নি (টনি ব্লেয়ারের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ) প্রভৃতি।