ভূমিকা আমাদের পৃথিবীটা অনেক দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে কারণ আমরা বদলে দিচ্ছি। সৃষ্টির শুরু থেকে আমাদের মহান পূর্বপুরুষগণ নিরলস চেষ্টা দ্বারা অসাধ্য সাধন করে চলেছেন। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা আজ চরম উন্নতির শিখরে উঠে এসেছি। এই স্তরে এস পৌঁছাতে অবদান রেখে গেছেনে কত শত ধর্ম প্রচারক,বৈজ্ঞানিক ,দার্শনিক ,রাজনৈতিক ,সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক মহৎ প্রাণ। তাঁদের কথা মনে -প্রাণে স্মরণ রাখা আমাদের নৈতিক কর্তব্য। সেই নৈতিক কর্তব্য মনে রেখেই আমি সচেষ্ট হয়েছি পৃথিবীর আদি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ‘স্মরণীয় একশ এক মনীষী’র জীবন গাথা রচনা করতে। হাজার হাজার মনীষীর কর্ম-প্রচেষ্টায় সুন্দর ভাবে গড়ে উঠেছে আমাদের সুন্দর ধরণী। তাঁদের মধ্য থেকে মাত্র একশ একজন মানুষকে স্মরণ করা বোধ হয় খুব অল্প হয়ে গেল। তবুও আমার ক্ষুদ্র সাধ্যদিয়ে যেটুকু পেরেছি-তাই নিবেদন করলাম পার্ঠকের দরবারে। জীবন গুলো লিখতে গিয়ে আমাকে বেশ কিছু বই ও পত্রপত্রিকার শরণাপন্ন হতে হয়েছে। আমার পূর্বসূরি সেই সব বই ও পত্র-পত্রিকার লেখদের প্রতি আমি বৃতজ্ঞ । সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আফসার ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী জনাব আফসারুল হুদাকে বইটি প্র্রকাশ করার দায়িত্ব নেবার জন্য। বইটির নামকরণ করছেন আমার সুহৃদ, খুব কাছের মানুষ রবিশঙ্কর মৈত্রী-তাকেও ধন্যবাদ। পাঠকদের মনে আমাদের মহা-প্রাণ মনীষীদের জীবন -ইতিহাস জানার আগ্রহ সৃষ্টি করায় আমার লক্ষ্য । তাতেই যদি সফল হই, তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে। মিলন রায় ৩৩ ছনটেক ঢাকা
মিলন রায় জন্ম : ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ খ্রি.। জন্মস্থান : শ্রীপুর, তেরখাদা, খুলনা। বাবা : মন্মথরঞ্জন রায়।। মা : আশালতা রায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৩ সালে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৯ সালে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। অধ্যাপনা পেশায় নিয়ােজিত মিলন রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে বেড়াল মানবী (২০০২), আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ (২০০২), ছােটদের কবি সুকান্ত (২০০২), ছােটদের পল্লিকবি জসীম উদ্দীন (২০০২), পারস্যের কবি (২০০৩), রাজকুমারী সুমনা ও অহংকারী পিয়া (২০০৪), কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত : জীবন ও কাব্য (২০১৩), কথাসাহিত্য পরম্পরা : বঙ্কিম-শরৎ-মানিক (২০১৮), গাঁও-গেরামের গল্প (২০১৮) প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ।