ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা পাজেরোর পিছনে ছুটছে মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের পিঠে নোটু ও কুকুর লালা। লালার মাথায় হলুদ ক্যাপ। রাস্তার লোকজন তাদের দিকে তাকায়। মোটর-সাইকেল থেকে শব্দ হয়, ‘আমরা যে ওদের ফলো করছি, ওরা কিন্তু টের পেয়ে যাচ্ছে।’ নোটু বলে, ‘তাই নাকি, তা হলে আমরা অদৃশ্য হয়ে যাই।’ মুহুর্তে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। নোটু, মোটরসাইকেল, লালা কাউকে আর দেখা যায় না। অদৃশ্য হয়ে পাজেরোর ওপর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গাড়ির ভিতরের লোকজন কেই-ই তাদের দেখতে পায় না। ভূমিকা নোটুর নানা রকম ক্ষমতা। তিন মাস্তান চলন্ত লঞ্চ থেকে এক ভদ্রলোককে নদীতে ফেলে দেয়। রাতের বেলা নোটু সেই লোককে উদ্ধার করে। নোটুর মোটরসাইকেলের নাম সংক্ষেপে মোসা। সে একা একাই চলতে পারে। শুধু কি তাই! কথাও বলে। আর তাদের সঙ্গে আছে কুকুর বাবা। তারও ক্ষমতা অনেক। তিনের কাহিনি নিয়ে নোটু, মোসা ও লালা। দন্ত্যস রওশন ফেব্রুয়ারি-২০১৩ সুচিপত্র *কোথাও পালাতে পারল না ইমারত *লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার পর *মোটরসাইকেলটা পাহাড়ের উপর দিয়ে ছুটছে *কুকুর নিয়ে আপনি ট্রেনে যেতে পারবেন না *মেয়েটি তখন পড়ে যাচ্ছিল ব্রিজ থেকে *সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল তারা তিনজন *কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যা হলো *যেভাবে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী *বেড়াতে গিয়ে ওরা তিনজন, ব্যাংককে *কলাপতায় চড়ে তখন উড়ে গেল সে
দন্ত্যস রওশন ( সাইদুজ্জামান রওশন) জন্ম ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬২, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রামে। মা আজিমা খাতুন, বাবা আবদুল ওহাব। শৈশব-কৈশোর কেটেছে গ্রামে। কবিতার মধ্য দিয়ে লেখালেখির সূচনা। পরে গল্প-উপন্যাস ও শিশুসাহিত্য রচনায় সক্রিয় হন। শিশু কিশোরদের বইয়ের সংখ্যা ৫০। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭৫। মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাস নোটুর সেভেনটি ওয়ান-এর জন্য অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। নোটুর একটি রাইফেল মুক্তিযুদ্ধের শিশু কিশোর উপন্যাসের জন্য পান অধ্যাপক খালেদ শিশুসাহিত্য পুরুস্কার। কিশোর গল্পগ্রন্থ পরিদের নাচের টিচার-এর জন্য পান ফান কেক আনন্দ আলো পুরস্কার। স্ত্রী ডা. ফারহানা মোবিন, ছেলে অনুভব অভিলাষ জামান। উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা, ১৯৭১ ঘাতক দালালের বকতৃতা ও বিবৃতি। গুন্টার গ্রাস সংকলন,একাত্তরের অগ্নিকন্যা। অণুকাব্য লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। কবিতাপত্র আমলকীর সম্পাদক। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭৫। পেশা: সাংবাদিকতা।