ফ্ল্যাপে লিখা কথা মাদার তেরেসাকে পাঠ করা অথি জরুরি। বিশ্বের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এবং সমাজের চিত্র অতিদ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সমাজ থেকে মায়া মমতা এবং স্নেহ ভালবাসা যেনো ধুলো-ধূয়ার মতোই উড়ে যাচ্ছে। অনাথ শিশুরা ধুকে ধুকে মরছে। এতিম শিশুরা বিভিন্ন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের স্বীকার হেয় গুমরে গুমরে কাঁদছে। আপদে বিপদে তারা কাউকে সহায়ক হিসেবে পাচ্ছে না । সুখে দুঃখে বাবা-মাকে ডাকতে পারছে না। তাই বর্তমানে রুগ্ন পৃথিবীটির জন আর একটি বিশ্ব মায়ের জরুরী প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমাদের দেশের মেয়েরা/মায়েরা নিজেদের ঘরসংসার পরিবার পরিজন আর বাহ্যিক পরচর্চা ও রূপচর্চা নিয়ে এতো বেশি ব্যস্ত যে তারা অনাথ বা পথ শিশুদের দিকে ফিরে তাকাবার ফুসরত পাচ্ছেন না। এসব মায়েদের নিজের এবং তাদের সন্তানদের মাদার তেরেসার সাথে অতি জরুরীভাবে পরিচিত করানো দরকার। একটি মায়ের কাচে যে স্নেহ বা ভালোবাসা আদরে ভান্ডার থাকে বাবাদের কাছে হয়তো সেটা থাকে না। আমাদের ষোলকোটি মানুষ যার অর্ধেকের বেশি মহিলা বা মায়েরা। এদের মধ্যে কি একজন মাদার তেরেসা নেই? অবশ্যই আছে। আমরাই বা তাকে সামগ্রীক অনুপ্রেরণা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিনা কেনো? আর তিনিই বা উন্মোচিত হচ্ছেন না কেনো? এমন কোনো মায়ের দেখা পেলে আমরা অবশ্যই তাকে সাধ্যমতো সহযোগিতা প্রদান করা সহ হৃদয় উত্থিত প্রাণঢালা সম্মান জানাবার অপেক্ষায় রইলাম। মাদার তেরেসার জীবনী পড়লে তার মতো হওয়া যাবে বা কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে এবং এটাও সম্ভব। আমার দেশের শিশুদের মধ্য থেকে দ্রুতিই একদিন বেড়িয়ে আসবে আর একজন মাদার তেরেসা।