সূচিপত্র * আশোক লেনের গৃহ * নতুন আলোকে মীর মশাররফ হোসেন * ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ : অমোঘ উচ্চারণ * লুৎফর রহমান ও ‘না্রীতর্থ’ “ পথিকৃৎ ও অন্যান্য * সত্যেন সেনের দুই উপন্যাস * রণেশ দাশগুপ্ত : শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি * ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ : সাবেকি অথবা আধুনিক * পূর্ণেন্দু দস্তিদার : অপচয়ের আড়াল * নদীর কান্না ও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ * রশীদ করীম : সমকালীন ও চিরকালীন * হাসান হাফিজুর রহমান : রাষ্ট্রের বিপরীতে ব্যক্তি -সত্তা * ফয়েজ আহ্মদ : গণ্ডির বাইরে সত্তা * মোহাম্মদ রফিকের ‘নোনাঝাউ’ * বিন্দুতে সিন্ধসন্ধান : হাত হদাই * প্রাচ্য : সত্তার খোঁজে নাটক * রূপবদলের নায়ক হুমায়ূন আহমেদ * তালাশ অন্তহীন * মুক্তিযুদ্ধ ও লিটল ম্যাগাজিন * মুক্তিযুদ্ধের কবিতা : কবিতার মুক্তিযুদ্ধ
পূর্বকথা সাহিত্য-অঙ্গনের বাসিন্দা আমি নই, প্রবেশের জন্য যে ধরনের সাহিত্যিক ছাড়পত্র দরকার সেটাও আমার করায়ত্ত নয়। তারপরেও যে সাহিত্য বিষয়ক লেখালেখি করেছি নানা সময়ে তার বেশির ভাগ ভালোবাসা সঞ্জাত রচনা ,যোগ্যতাবলে নয়। এমন সব লেখার একটি চয়নিকা নিবেদনে আমাকে প্ররোচিত করেছেন প্রীতিভাজন সজ্জন প্রকাশক মজিবর রহমান খোকা, আমার প্রতি তাঁর বিশেষ পক্ষপাতের পরিচয় তিনি আগেও এবং এখনও দিয়ে চলেছেন। তাঁকে জানাই বিশেষ ধন্যবাদ। আমার অকিঞ্চিৎকর লেখালেখির পেছনে আরেক ভূমিকা পালক করেছেন বিভিন্ন সাহিত্য-সাময়িকীর সম্পাদক, তাঁদের প্রতি আমার কৃজ্ঞতার অন্ত নেই। যেটা বিশেষ আনন্দের তা হলো, লিটন ম্যাগাজিনের সম্পাকদকের কেউ কেউ ফরমায়েশ নিয়ে আমার কাছে হাজির হয়েছেন। তাঁরা যে আমাকে অপাঙ্ক্তেয় গণ্য করেন নি সে কারণে তাঁদের চাহিদা পূরণে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং এ ভাবে কোনো কোনো লেখক কিংবা তাঁদের কোনো বিশেষ রচনা আরো তলিয়ে দেখতে ব্রতী হয়েছি। আমার জন্য এই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে, পাঠকের জন্য কতটুকু হবে সে সংশয় তো থেকেই যায়। আমি আরো কৃজ্ঞত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার কাছে যাদের আমন্ত্রণে কিছু কিছু লেখার কাজ আমাকে করতে হয়েছে।
এমন সব কেজো লেখার একত্র সংকলন যে পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছি তার কারণ আমার ভালোবাসার অনেক মানুষ এইসব রচনার উদ্দিষ্ট হয়েছেন। তাঁদের সাহিত্য-কথা ও শিল্পসাধনার প্রতি যদি পাঠকদৃষ্টি কিছুটা আকৃষ্ট হয় তবেই নিজেকে সার্থক বিবেচনা করবো। বিনয়াবনত-- মফিদুল হক
মফিদুল হক (জন্ম: ১৯৪৮) পেশায় প্রকাশক এবং কর্মসুবাদে শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। তার সমাজচিন্তামূলক বহুবিধ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও শিল্প-সাহিত্যের সাময়িকীতে, যদিও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তুলনায় খুব বেশি নয়। মৌলিক প্রবন্ধ রচনার পাশাপাশি অনুবাদেও তিনি সর্বদা আগ্রহের পরিচয় রেখেছেন। সমাজ-অধ্যয়ন তাঁর রচনার মূল বিষয়, এক্ষেত্রে শিল্প-সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ পেয়েছে বিশেষ প্রাধান্য। বাংলা একাডেমী থেকে জীবনীগ্রন্থ সিরিজে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর রচিত আবুল হাশিম’ এবং পূর্ণেন্দু দস্তিদার' প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘মনােজগতে উপনিবেশ: তথ্য সাম্রাজ্যবাদের ইতিবৃত্ত’, ‘তৃতীয় বিশ্ব এবং নারীমুক্তির পথিকৃৎ। অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে এর্নেস্তো কার্দেনালের ‘বিপ্লব ও ভালােবাসার কবিতা, জন হের্সের ‘হিরােশিমা', সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ: ১৯৭১', আহমেদ সালিমের ‘পাকিস্তানের কারাগারে শেখ মুজিবের বন্দিজীবন’ প্রভৃতি। শিল্পকলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়েছে দ্বিভাষিক গ্রন্থ কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউটইউনেস্কো প্রকাশিত দ্বিবার্ষিক সংকলন ‘ওয়ার্ল্ড অব থিয়েটার'-এর অন্যতম সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য-সচিব তিনি।