ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা নোবেল পাওয়াকে জীবনের বড় অর্জন মনে করেন অনেক রথী-মহারথী। বিজ্ঞানী আলফ্রেড শক্তিধর বিষ্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করেন। ডিনামাইটের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বেশি থাকায় দেশে দেশে এর ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে। এসব চাহিদা মেটানোর প্রয়োজনে নোবেল সুইডেন, ইতালি, ফ্রান্সে ও জার্মানিসহ আরও কয়েকটি দেশে ডিনামাইট প্রস্তুত কারখানা নির্মাণ করেন। মানবতাবিরোধী কাজে মানুষ ডিনামইট ব্যবহার করতে থাকলে দুঃখবোধ ও বিবেকের যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তার অর্থকড়ি ও যাবতীয় সম্পদ মানকল্যাণে ব্যয় করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। যারা বা যে প্রতিষ্ঠান মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, জাতি-ধর্ম, দেশ-মহাদেশ নির্বিশেষে তাদের পুরষ্কৃত করার উদ্দেশ্যই ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়। প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এখন পর্যন্ত সব বিভাগে ৪৪ জন নারী নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে সাহিত্যে পেয়েছেন ১২ জন নারী। ১৯০১ সাল থেকে ২০১১-এ পর্যন্ত নোবেল কমিটি ১০৪বার ১০৮ জনকে সাহিত্যে পুরস্কৃত করেছে। ৪জন বেশি হওয়ার কারণ ১৯০৪, ১৯১৭, ১৯৬৬ এবং ১৯৭৪ সালে ২জন করে পুরষ্কৃত হয়েছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ‘নোবেল জয়ীদের কথা’ বইটি পড়ে ছোট-বড় সবাই অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
যে ক’জন তরুণ লেখক অল্প সময়ে পাঠক মহলে জায়গা করে নিয়েছেন শামসুজ্জামান শামস তাদের মধ্যে অন্যতম। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেয়া এ লেখক পেশায় সাংবাদিক । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেকি চালিয়ে যাচ্ছেন শামস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯৫। বিরহের নীল আকাশ, মেয়েরা এমনই হয়, মেঘ ভাঙা রোদ, মন দিয়েছি তোমায়, মনময়ূরি, চাওয়া পাওয়া, একাত্তরের আলাল-দুলাল উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক প্রিয়তা অর্জনকারী এ লেখক বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিকের ঈদ সংখ্যায় গল্প, উপন্যাস এবং নানা বিষয়ের ওপর ১৯৯৫ সালে থেকে লিখছেন অবিরাম।