ভূমিকা ক্যান্সার ও হৃদরোগ―এ দুটোই মারাত্মক নীরব ঘাতক। যেকোন মানুষের জীবনে এ দুটো রোগ হঠাৎ দেখা দিতে পারে। ক্যান্সার আমাকে আক্রমন করেছিল ১৯৯৯ সালের মে মাসে। অত্যন্ত সাহসের সাথে আমি রুখে দাড়িয়েছিলাম ক্যান্সারের বিরুদ্ধে। জয় করেছি ক্যান্সারকে। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি। পেয়েছি নতুন এক জীবন। ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনও বিজ্ঞানীরা বের করতে পারেননি। তবে এব্যাপারে প্রচুর পড়াশুনা করেছি। বাস্তব জীবনে অনেক ক্যান্সার রোগীদের সাথে কথা বলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তার আলোকে আমার মনে হয়েছে... প্রচন্ড দুঃখ কষ্টের মধ্যে যাদের বসবাস, জীবন চলার পথ যাদের মসৃন নয়। যারা কারো সাথে কোন ব্যাপার শেয়ার করেন না। তাঁরাই মরণব্যাধী ক্যান্সার এবং হৃদয়ের অসুখ অর্থাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। প্রতিটি মানুষের জীবনেই দুঃসহ কিছু যন্ত্রণার স্মৃতি থাকে, আমারও আছে। জীবনের সেসব দুঃসহ স্মৃতিগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি ভুলে থাকার কিন্তু মানুষ চাইলেই কি তা পারে? না! পারে না, আর পারে না বলেই হয়তো কষ্টের স্মৃতিগুলো দুঃস্বপ্নের মত বার বার ফিরে ফিরে আসে। স্মৃতির এ্যালবামে তা আমি স্বচ্ছ দৃষ্টি নিয়ে দেখতে পাই। মানুষের জীবনের গল্প খুব একটা ছোট নয়, বেশ বড়। কিছু কষ্ট, কিছু দুঃখ আর কিছু সুখ―এ নিয়েই প্রতিটি মানুষের জীবনের গল্পের মত আমার জীবনের গল্পও তাই। হুবহু তুলে ধরা সম্ভব নয়। যেটুকু সম্ভব হয়েছে, সেটুকু তুলে ধরেছি। বাকীটুকু শুধু নিজের। হ্যাঁ অনুভবে অনুভব করার।