ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা বিল্পবীদের জীবনেতিহাস সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। ভাষা মতিন স্বনামে সমাধিক পরিচিত আব্দুল মতিন এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সবটুকুই বিপ্লবী জীবনের আত্মস্মৃতিসারাংশ। কেবল প্রজন্মের সাহসীদেরকেই প্রলুদ্ধ করবে না সত্যানুসন্ধানী প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে ইতিহাস-ব্যবসায়ীদেরকে, বরং যারা প্রকৃত ইতিহাসের সন্ধান করেন তাদের জন্য এ গ্রন্থটি আশীর্বাদ বলেই মানি। গ্রন্থটি সকল পাঠকের জন্য। জাতীয় বীর-সংগ্রামী যাঁরা, বিপ্লব-পরবর্তী তাঁদের অনুভূতি নিংড়ানো যতখানি রক্তছাপ মেলে তাদের স্বকালের ততটুকুই তো ঘটনাবানস্তবতার সত্যবীজ, আগামী স্বকালের আলো জ্বালাতে প্রাণে যোগাবে। ইতিহাস-মানবদের আত্মমূল্যায়ন চিরকালই পাঠকের কাছে একটি দুর্লভ প্রাপ্তিও বটে। বায়ান্ন’র চেতনায় বাংলা ভাষা রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডল পেরিয়ে এতদিনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে-ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অগ্রভাগের নেতা সর্বজশ্রদ্ধেয় ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের লেখা ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন’ বইটি তার কয়েক বছর পরেই প্রকাশিত হচ্ছে। সময়ের সন্ধিক্ষণে বইটি জরুরি। সূচিপত্র *ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট *ভাষা আন্দোলনের সূচনা *ভাষা আন্দোলনের পূর্ণগতি *একুশে ফেব্রুয়ারির প্রস্তুতি *সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম গরিষদের ভূমিকা *১৪৪ ধারা ভঙ্গের সুফল *২২শে ফেব্রুয়ারির গায়েবি জানাজা *ভাষা আন্দোলনে ছাত্র ও জনগণের ভূমিকা *একুশের সার্থকা *আব্দুল মতিন জীবনালখ্যে দেখা এ নিঃশঙ্ক ভাষাসৈনিক *ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট প্রদান অনুষ্ঠানে-আব্দুল মতিনের ভাষণ *নির্ভীক ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন *সাক্ষাৎকার : নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকায় *ছবিতে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভাষাসৈনিক আব্দুল মতিন
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকার জীবনশিল্পী মানবতাবাদী লেখক আব্দুল মতি মৌলভীবাজার শহরতলীর বর্ষিজোড়া (মাইজপাড় বাসাবাড়ি)'র এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহ। করেন। পিতা মরহুম ডাঃ আব্দুল গফুর এ্যালোপ্যাথিয় চিকিৎসক ও মাতা মরহুমা বেগম ফুল একজন বিদূষ সুগৃহিনী ছিলেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। জাতীয় পত্র-পত্রিকায় তা অজস্র লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন শক্তিমান উঁচুমাপের লেখক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী। জীবনখাতার বিশাল ক্যানভাসে কালি ও কলমের আঁচডে কথাকলি ও শব্দ বুনেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অন্তরে অনির্বাণ একুশের সাহিত্য প্রতিযোগিতার কবিতা-নাটক গল্প-প্রবন্ধ সাহিত্যের সবক'টি শাখায় তিনি একাধিকবা শীর্ষ পুরষ্কার পেয়েছেন এবং বহুভাষাবিদ আন্তর্জাতিক পন্ডিত ড. সৈয়দ মুজতবা আলী জন্ম শতবর্ষ সাহিতে পুরষ্কার অর্জন করেন। সাহিত্যে ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে একি অনিবার্য নাম আব্দুল মতিন। তিনি একাধারে সফল নাট্যকার-নির্দেশক-অভিনেতা-উপস্থাপক-গীতিকার সুরকার-বাগ্মী-সাংস্কৃতিক-পৃষ্টপোষক-সংগঠক। তিনি মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের নির্বাচিত ভি.পি ছিলেন। ঢাকায় লেখাপড়ার সময় স্বৈরাচারবিরোধ আন্দোলন-সংগ্রামে মিছিলের প্রিয়মুখ-অগ্র-পথিক-সাহস মানুষ হিসেবে তার ভূমিকা ছিল সমুজ্জ্বল। রাজপথ কাঁপানে লড়াকু-অকুতোভয় এক বাতিঅলার নাম আব্দুল মতিন লেখক হিসেবে তিনি নাম নাম যশ অর্জন করেছেন, য সর্বজনবিদিত স্বীকৃত। লেখকের ভান্ডারে বেশক'টি অপ্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। আশা করি অচিরেই এগুলে প্রকাশিত হয়ে বাংলা সাহিত্যেকে ঋদ্ধ করবে।