ফ্ল্যাপে লিখা কথা সফল ব্যক্তিরা সব সময় উদার চিত্ত-তারা কখনও নিজেদের সম্পর্কে অহংকার করে না। তারা অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তারা তাদের দলের সদস্যদের শুধু নয় প্রতিযোগীদের ও সম্মান এবং গুণের কদর করেন। অনেকেই জানেন কীভাবে সফল হতে হয়; খুব কম লোক জানেন সাফল্য লাভের পর কীভাবে আচরণ করতে হয়। সবসময়ই একজনের সাফল্য কিছু ব্যক্তিকে অসুখি করে। একজন সফল ব্যক্তির জীবনে নিয়ম ও শুঙ্খলাবোধের গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়ম-শৃঙ্খলার অভাবে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। যে সমস্যাগুলোই জীবনে সফলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সম্মুখের সমস্ত বাধাকে গুড়িয়ে দিয়ে দুর্দম গতিতে পথ চলাই বিজয়ীদের ধর্ম। যারা কখনও কোন বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হোননি-তাদের থেকে যারা সীমাহীন বাধা অতিক্রম করে এসেছেন তাদের ক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাস দীর্ঘস্থায়ী। সমস্যার সম্মুখে আমরা কখনো কখনো নিরুৎসাহ বা হতাশ হয়ে পড়ি কিন্তু বিজয়ীদের কখনো মনোবল নষ্ট হয় না। এই মনোবল নষ্ট না হওয়ার জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়। একটি ইংরেজি প্রবাদে বলে, “শান্ত সমুদ্রে কখনো দক্ষ নাবিক হওয়া যায় না।” প্রথমে সমস্ত সমস্যাই কঠিন মনে হয় কালক্রমে তা সহজ হয়ে আসে। আমরা আমাদের সমস্যা থেকে পালিয়ে যেতে পারি না কেবল বিজিতরাই রণে ভঙ্গ দেয়, এই প্রসঙ্গে Abigail; Van Buren-এর একটি বাক্য স্মরণযোগ্য। “আত্মহত্যা একটি সাময়িক চিরস্থায়ী সমাধান।” প্রকৃতপক্ষে সফল ব্যক্তিরা নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। তারা তাদের নিজেদের কাজের মান ক্রমাগত উন্নিততর করার চেষ্টা করে চলে। জীবনে কত উপরে ওঠা গেছে সাফল্য তাই দিয়ে বিচার করা যায় না বরং কতবার বিফলতা সত্ত্বেও হতাশা অতিক্রম করে সাফল্যের পথে এগিয়ে গেছে সেই ক্ষমতা দিয়েই সাফল্য নির্ধারিত হয়।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।