ফ্ল্যাপে লিখা কথা ভাষার মর্যাদা ও উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা-পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে একটি জাতির অগ্রগমণের পথ ও ভিত নির্মিত হয়। আজকের ইউরোপ-আমেরিকা এমনকি আমাদের এশিয়ার চীন-জাপান পর্যন্ত সামাজিক-আর্থিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই দুটি বিষয়ে সব সয় খুব সতর্ক। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের চিন্তা ও অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থাকলেও বিস্ময়ের ব্যাপার আজও বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হয়নি ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা। ভাষাদতা বৃদ্ধি. পৃথিভীর অপরাপর ভাষা আয়ত্বকরণ প্রভৃতি বিষয়েও আমরা যথেষ্ট পিছিয়ে আছি। ভাষাকে প্রযুক্তি রূপে বিবেচনায় নিতে যেন বড় দেরি করছি আমরা। আর শিক্ষা পরিকল্পনার অভাবে আমরা এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাটুকুও নিশ্চিত করতে পারিনি। বিজয়লাভের প্রায় চারদশক পরে একটি আপাত শিক্ষানীতি তৈরি কররেও তার বাস্তবায়ন যে সুদূর পরাহত, তা যে কোনো সচেতন মানুষের কাছেই বোধগম্য ব্যাপার। এই যে পিছিয়ে থাকা এবং না-পারার ব্যর্থতা-সেসবের সামনের ও অন্তরালের কথা আছে বর্তমান গ্রন্থে । এবং কীভাবে ওই অপরাগতার চারদেয়াল থেকে বেরিয়ে আসা যায়-তারও বহুকৌণিক ভাবনার প্রতিফলন পাওয়া যাবে বইটির পাতায় পাতায় । কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি বিশেষভাবে উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া আগ্রহী পাঠকও পেতে পারেন বাড়তি আনন্দ ও প্রেরণ। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষ করে তথ্য, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, সমাজকল্যাণ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নীতিনির্ধারণে এই বইটি কাজে আসতে পারে। সর্বোপরি, গ্রন্থটি বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে একটি নোটবুক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।