ফ্ল্যাপে লিখা কথা ক্ষুদ্র আয়সম্পন্ন বিশেষ করে গ্রামীণ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতির কার্যকারিতা আজ সর্বজনস্বীকৃত। গ্রামীণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের কথা বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষকম মজুর এবং মেহনতি মানুষের ছবি। এ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়ন এবং তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নতি বা উন্নয়ন কোনটাই সম্ভব নয়। গ্রামীণ দারিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রধান সমস্যা পুঁজির স্বল্পতা কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্র করে যদি তা সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে তাদের দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙ্গে সমৃদ্দির পথে নিয়ে আসা সম্ভব। সমবায়ই সে ক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম হতে পারে। সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পে সমবায় পদ্ধতির সঠিক বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য নিরসনে সমবায়ের উপরেই সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন। এ সংকলনে সন্নিবেশিত প্রবন্ধসমূহ পাঠে পাঠকগণ সমবায় পদ্ধতির মাধ্যমেই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন যে সম্ভব সে সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। সংকলক ও সম্পাদক সমীর কুমার বিশ্বাসের দীর্ঘ পরিম্রম ও নিষ্ঠার ফসল এই গ্রন্থ কেবল বিশেষ গোত্রের পাঠকই নয়, সাধারণ পাঠকরও প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে বলে আমাদের ধারণা।