উনিশ শতকের শেষদিকে পদার্থবিজ্ঞানীরা মােটামুটি কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন। তারা ধারণা পােষণ করলেন যে, পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নিয়ম এবং আনুষঙ্গিক বিষয় এখন তাদের হাতের মুঠোয়। এর মধ্যে অন্যতম হলাে ‘কণাবাদী তত্ত্ব’। তারা সেই সাথে আরাে যুক্ত করলেন বস্তুর গতিবিধির বিদ্যার মৌলিক কিছু বিষয়। বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র ভর বিশিষ্ট অধিক কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বক ক্ষেত্ৰ বতুর সাথে ক্ষেত্রের আদান প্রদান নিয়ে মতবাদ প্রদান করলেন যার নামকরণ করলেন কোয়ান্টাম থিয়ােরি (Quantum Theory)। তবে ‘কণাতম বলবিদ্যা’ বা ‘কণাতত্ত্ব’ একই অর্থবােধক। বিজ্ঞানীরা গভীরভাবে খেয়াল করলেন কণাতত্ত্ব লদ্ধ নতুন দৃষ্টিভঙ্গীতে পদার্থ জগতের মূল উপাদান কয়েকটি মৌলিক কণা মাত্র, প্রাচীন পদার্থবিদ্যার দৃষ্টিতে যা তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গ। আর এর মূল হলাে ফোটন নামক মৌলিক কণা। সেরূপ বতুর মূলে রয়েছে। প্রধানত নিউট্রন্ প্রােটন এবং ইলেক্ট্রন্ নামক তিনটি কণা। আরও অনেক মৌলিক কণা সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন ব্যস্ত আছেন ঈশ্বর কণা নিয়ে। অনেক বছর এটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা কেবল ভেবেছেন। এবার এর অস্তিত্ব এবং ক্রিয়া আলােকপাতের প্রয়াস পেলেন। এটি একবিংশ শতাব্দীর জন্য অবশ্যই নতুন এক আশার বার্তা। বিজ্ঞানীরা ইউনিফায়েড ফিল্ড থিয়ােরি (Unified Field Theory) নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালালেন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক সব দিকের যুক্তি দেখানাে হলাে। ক্ষেত্ৰতত্ত্বকে স্থানচ্যুত করার চেষ্টাও করা হলাে। আজকের Classical Physics কে বিজ্ঞানীরা এগিয়ে নিতে চান আরও অনেক দূর। কোয়ান্টাম থিয়ােরি এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স তারই একটি অংশ। এ গ্রন্থে কোয়ান্টাম থিয়ােরি এবং তার আনুষঙ্গিক কোনাে বিষয়ই বাদ দেওয়া হয়নি। বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা ঈশ্বর কণা নিয়ে সর্বশেষ কোন অবস্থানে আছেন সে বিষয়টিও এ বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
খায়রুল আলম মনির একজন লেখক, গবেষক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার জন্য বাজারে বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি বয়সে একেবারে তরুণ । খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতােগুলাে গ্রন্থ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর। খায়রুল আলম মনির পড়াশােনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এস.এস সম্মান এবং ১৯৯৫ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে । ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকটি দেশ। তার মৌলিক রচনা প্রায় অর্ধশত। তার রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের জন্য বিজ্ঞান : ছােটদের বিজ্ঞান নিয়ে খেলা আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান : বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।