হিলারী ক্লিনটন বলেছিলেন, বর্তমান বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে প্রধানত দু’টি কারণেÑ এক. গ্রামীণ ব্যাংক আর দুই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভূমিকা। সেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্যেই কর্নেল আশরাফ গিয়েছিলেন সিয়েরা লিওন। তিনি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং একটি দল কন্টিনজেন্টের উপ-অধিনায়ক। গিয়েছিলেন সেই শুরুর দিকে এবং কাটিয়ে এসেছেন পুরো একটি বছর যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশটিতে। ওইটুকু সময়ের মধ্যে আপন পরিবৃত্তে দেখা ঘটনাবলী ও সমাজ-চিত্রকে তিনি এই গ্রন্থে দৃশ্যায়িত করেছেন নিজস্ব-ভঙ্গিমায়। অন্য অনেকের মতো তিনিও খুব কাছে থেকে দেখেছেন সেদেশের মানুষকে, অত্যন্ত দরদ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেছেন ওই ভিন সমাজের ক্ষতচিহ্নগুলোকে আর ব্যথিত হয়েছেন মানুষ ও মানবতার দুর্দশা দেখে। দীর্ঘ এক বছর ধরে সেনা সদস্যরা কি কি কাজ করেছেন তার অনুপুঙ্খ বর্ণনা এতে নেই, তবে কিছু দুর্লভ ঘটনা ও বিষয়ের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন যা থেকে সে দেশের মানুষের মানস ও সমাজের একটি বাস্তব বিশদ চিত্র অঙ্কন করা যায়। কর্নেল আশরাফ সিয়েরা লিওনকে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মধ্যে এক চমকপ্রদ ও ভিন্ন মাত্রায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ যাবৎ মোট ত্রিশটি দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যোগ দিতে সেনা সদস্যদের পঠিয়েছে। এর মধ্যে মোট চৌদ্দটি দেশের পাটিয়েছে সৈন্যদল। এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত প্রায় একত্রিশ হাজার সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন। পঞ্চমুখে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কাজের প্রশংসা করেছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের সুনাম বেড়ে গেছে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে। এতে আর্থিক সাচ্ছন্দ্য লাভ করেছেন ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সেনা সদস্য এবং বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এতে ত্যাগের পরিমাণটি অপূরণীয়। মোট ৪৮ জন সেনা সদস্য এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। সিয়েরা লিওনে পরিচালিত হয়েছে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ পারিচালিত অন্যতম সফল কার্যক্রম। বাংলাদেশী সেনাদল ছিল এর অন্যতম প্রধান প্রাণশক্তি। বাংদেশীদের আন্তরিকতা ও ত্যাগী মনোভাবে মুগ্ধ হয়েছে সে দেশের আপামর জনসাধারণ। বলা যায় বাংলাদেশীরা সে দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষিতে এই গ্রন্থের মূল্য অনন্য। হিলারী ক্লিনটন বলেছিলেন, বর্তমান বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে চেনে প্রধানত দু’টি কারণেÑ এক. গ্রামীণ ব্যাংক আর দুই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভূমিকা। সেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্যেই কর্নেল আশরাফ গিয়েছিলেন সিয়েরা লিওন। তিনি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং একটি দল কন্টিনজেন্টের উপ-অধিনায়ক। গিয়েছিলেন সেই শুরুর দিকে এবং কাটিয়ে এসেছেন পুরো একটি বছর যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশটিতে। ওইটুকু সময়ের মধ্যে আপন পরিবৃত্তে দেখা ঘটনাবলী ও সমাজ-চিত্রকে তিনি এই গ্রন্থে দৃশ্যায়িত করেছেন নিজস্ব-ভঙ্গিমায়। অন্য অনেকের মতো তিনিও খুব কাছে থেকে দেখেছেন সেদেশের মানুষকে, অত্যন্ত দরদ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেছেন ওই ভিন সমাজের ক্ষতচিহ্নগুলোকে আর ব্যথিত হয়েছেন মানুষ ও মানবতার দুর্দশা দেখে। দীর্ঘ এক বছর ধরে সেনা সদস্যরা কি কি কাজ করেছেন তার অনুপুঙ্খ বর্ণনা এতে নেই, তবে কিছু দুর্লভ ঘটনা ও বিষয়ের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন যা থেকে সে দেশের মানুষের মানস ও সমাজের একটি বাস্তব বিশদ চিত্র অঙ্কন করা যায়। কর্নেল আশরাফ সিয়েরা লিওনকে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের মধ্যে এক চমকপ্রদ ও ভিন্ন মাত্রায় পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ যাবৎ মোট ত্রিশটি দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যোগ দিতে সেনা সদস্যদের পঠিয়েছে। এর মধ্যে মোট চৌদ্দটি দেশের পাটিয়েছে সৈন্যদল। এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত প্রায় একত্রিশ হাজার সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন। পঞ্চমুখে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কাজের প্রশংসা করেছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের সুনাম বেড়ে গেছে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে। এতে আর্থিক সাচ্ছন্দ্য লাভ করেছেন ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সেনা সদস্য এবং বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে এতে ত্যাগের পরিমাণটি অপূরণীয়। মোট ৪৮ জন সেনা সদস্য এই কার্যক্রমে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। সিয়েরা লিওনে পরিচালিত হয়েছে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ পারিচালিত অন্যতম সফল কার্যক্রম। বাংলাদেশী সেনাদল ছিল এর অন্যতম প্রধান প্রাণশক্তি। বাংদেশীদের আন্তরিকতা ও ত্যাগী মনোভাবে মুগ্ধ হয়েছে সে দেশের আপামর জনসাধারণ। বলা যায় বাংলাদেশীরা সে দেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষিতে এই গ্রন্থের মূল্য অনন্য।