"দ্য ক্রুসেডস :দ্য ফ্লেইম অভ ইসলাম" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ..দুপক্ষ পরস্পরের চেহারা দেখে এতটা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল যে অনেক সময় মােসলেম এবং ফ্র্যাঙ্কিশ সৈন্যরা যুদ্ধ রেখে আলাপে মেতে উঠত। দুটো দল মিলেমিশে গাইত, নাচত, তারপর আবার ফিরে যেত যুদ্ধে...' ..কাজির দিকে ঝুঁকে পড়লেন সালাদিন, যুদ্ধ। প্রসঙ্গে সংক্ষেপে কিছু বলতে আহবান জানালেন। পণ্ডিত যখন কথা বলছেন, সালাদিন নিজের ভাবনা গুছিয়ে নিলেন। তিনি জানেন সর্দাররা তাঁর আদর্শের প্রতি, তাদের উদ্দীপনা আর আতঙ্কের মাঝামাঝি দোল খাচ্ছে। তাদের শঙ্কা, জেরুজালেমের অবরােধ দ্বিতীয় অ্যাক্রের সৃষ্টি করবে। তারা উন্মুক্ত এলাকায় থাকতে চাইছে...' ...কিন্তু যেসব ছেলেরা বেঁচেছিল তারা আশা হারিয়ে ফেলে। ক্রস এবং গান ছাড়াই ক্লান্তদেহে উপকূল থেকে ফিরে যায় ওরা। ছােট ছােট দলে ভাগ হয়ে পাহাড় পেরিয়ে ঘরে ফিরে যাবার প্রয়াস পায়। যারা যাবার সময় তাদের সাহায্য করেছিল তারা এবার উপহাস করতে লাগল। ধর্ষিতা মেয়েদের দিকে ভৎর্সনার আঙুল দেখিয়ে বলতে লাগল যে প্রভু নয়, শয়তানের কাজে গিয়েছিল ওরা। এভাবেই শেষ হয়েছিল শিশুদের মিছিল। স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ ঘরে কঠোর শ্রম আর ভােগান্তিতে তাড়িত হয়ে বের হয়ে গিয়েছিল ওরা, সুদূরের শহর প্যালেস্তাইনের খোঁজ করতে নয় বরং সেই অন্য জেরুজালেমের খোজে যা পৃথিবীর সকল সাগরের ওপাশে রয়েছে...
অনুবাদক শওকত হােসেন-এর আদি নিবাস চট্টগ্রাম জেলার পরাগলপুর গ্রামে। বাবার বিচার বিভাগীয় চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন শহরে কেটেছে বাল্য ও কৈশাের। বই পড়ার অদম্য নেশা পেয়েছেন বই প্রেমী মায়ের কল্যাণে। ১৯৮৫ সালে রানওয়ে জিরাে-এইট অনুবাদের মাধ্যমে হঠাৎ করেই লেখালেখির শুরু শওঁকত হােসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত।