ফ্ল্যাপে লিখা কথা মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের এই রাষ্ট্র। মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল বহু মুক্তিযোদ্ধার দুঃসাহসী অংশগ্রহণ। রাষ্ট্রও দেশমাতৃকার সেই সাহসী সন্তানদের সম্মানিত করে বীরত্বসূচক খেতাব দিয়ে। তাঁদের মোট ৬৭৬টি খেতাব দেওয়া হয়। চার স্তরের খেতাবের শীর্ষে রয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’। এরপর যথাক্রমে ‘বীর উত্তম’, ‘বীর বিক্রম’, ‘বীর প্রতীক’।
যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ছাড়া এ দেশ স্বাধীন হতো না, তাঁদের অনেকে এখনো রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অনেকেরই পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত, বীরত্বগাথা অজানা। স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রথম আলো তা ধারাবাহিকভঅবে প্রকাশ করতে থাকে। ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মুখযুদ্ধের ঘটনাবলি নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল একাত্তরের বীরযোদ্ধা : খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা প্রথম খণ্ড। এবার বেরোল বইটির দ্বিতীয় খণ্ড। এই খণ্ডে আরও ৩১৬জন খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথা সংকলিত হলো। এই বইও আমাদের একাত্তরের রণাঙ্গনে নিয়ে যাবে, ইতিহাসের চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর উপাদানের সন্ধান দেবে আর পাঠকের মধ্যে সঞ্চার করবে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোর উদ্দীপনা।
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।