রায়নন্দিনী image

রায়নন্দিনী (হার্ডকভার)

by ড. কামরুল আহসান (প্রফেসর)

TK. 100 Total: TK. 86

(You Saved TK. 14)
  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10

14

রায়নন্দিনী

রায়নন্দিনী (হার্ডকভার)

4 Ratings  |  No Review
TK. 100 TK. 86 You Save TK. 14 (14%)
in-stock icon In Stock (only 1 copy left)

* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন

Book Length

book-length-icon

111 Pages

Edition

editon-icon

1st Published

ISBN

isbn-icon

9847016600515

book-icon

বই হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগ

mponey-icon

৭ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের সুযোগ

রকমারি ইসলামি বই উৎসব image

Similar Category eBooks

Customers Also Bought

Product Specification & Summary

ভূমিকা
‘রায়নন্দিনী’-র কাহিনী ও ‘থীম’ বিশ্লেষণঃ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজী ‘রায় নন্দিনী’ উপন্যাসের মূল কাহিনী ইতিহাস থেকে সংগ্রহ করেছেন।এ কাহিনী হচ্ছে বার ভূইয়ার নেতা ঈসা খাঁ মসনদে আলী ও শ্রীপুরের রাজা কেদার রায়ের কন্যা স্বর্ণ-ময়ীর প্রেম ও মিলনের কাহিনী। ইতিহাসে যদিও সর্ণময়ীকে চাঁদ রায়ের কন্যা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তথাপি স্বর্ণময়ী যে ঐতিহাসিক চরিত্র সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।প্রকৃত প্রস্তাবে, ইতিহাস থেকে উপাদান নিলেও সৈয়দ শিরাজী আসলে রোমান্টিক প্রেমের উপণ্যাসই রচনা করতে চেয়েছেন। তবে একটা বিষয় স্মরণ রাখতেই হবে যে ,বম্কিম-ভূদেব এক সময় মুসলমান নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে হিন্দু পুরুষদের সংগে প্রেমলীলায় যেভাবে মত্ত করেছেন, তারই প্রতিক্রিয়া সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজী এ উপন্যাসে রচনা করেছেন।
কাহিনীর শুরুতেই লেখক একটা চমক সৃষ্টি করেছেন। স্বর্ণময়ীকে আমরা এ সময়ে দেখি পালকি যোগে সাদুল্লাপুর মাতামহের বাড়ি যেতে । পথিমধ্যে যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের লোকজন কর্তৃক অপহৃত হয়। ঐ সময় ঈশা খাঁ বিশেষ কাজে মুরাদপুরের পথে। সেখানে কোন এক শিবমন্দির থেকে কোলাহল ভেসে আসে, ঈশা খাঁ শিবমন্দিরে প্রবেশ করে সেখানে আটক স্বর্ণময়ীকে উদ্ধার করে। এ ছাড়া আরও একবার বাল্যাবস্থায় কৃষ্ণদীঘিতে সাঁতরাতে গিয়ে মাঝ খানে ডুবে মরে যাওয়ার উপক্রম ঘটলে দৈবক্রমে সেবারও ঈশা খাঁ স্বর্ণময়ীকে উদ্ধার করেছিল। এরকমভাবে আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে দু’বার উদ্ধার করায় ঈশা খাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতায় অভিভুত হয়ে পড়ে স্বর্ণময়ী। এখান থেকে ঈশা খাঁর প্রতি অনুরক্ত ও প্রেমাসক্ত হয়ে ওঠে স্বর্ণময়ী। এ প্রসঙ্গে লেখক বয়ান দিয়েছেনঃ
“ঈশা খাঁর সুন্দর কমনীয় বীরমূর্তি তাহার হৃদয়ে এমন করিয়া আসন পরিগ্রহ করিয়াছে যে, যুবতীর চিন্তা ও কল্পনা, হৃদয় ও মন ঈশা খাঁময় হইয়া পড়িয়াছে।”
এতদপেক্ষিতে উপন্যাসটির ঘটনা প্রবাহ নানা দিকে বইতে শুরু করে। প্রথমত মাতুলালয় থেকেই ভৃত্য শিবনাথ কৈবর্তের সাহায্যে ঈশা খাঁর কাছে প্রনয় সম্ভাষণপত্র পাঠায় স্বর্ণময়ী এবং ঐ পত্র পাওয়ার পর ঈশা খাঁর হৃদয় মনেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।ঈশা খাঁর জবানীতে লেখক তাই বলেছেন।
“অনকে দিন হতেই তোমাকে স্বর্ণময়ী মূর্তিরন্যায় ভালোবাসিতাম।আজ সে স্বর্ণময়ী মূতি জীবন্ত ও সরস প্রেমময়ী, প্রীতিময়ী,হৃদয়ময়ী,কল্যাণময়ী অমৃত প্রতিমায় পরিণত।”
এদিকে,রাজা প্রতাপাদিত্য স্বর্ণময়ীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হও্য়ায় ভীষণভাবে ক্ষিস্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সেনাপতি মাহতাব খাঁকে লেলিয়ে দেয় স্বর্ণময়ীকে অপহরণ করার ঘৃণ্য কাজে। মাহতাব খাঁ এতে রাজি না হওয়ায় রাজার সঙ্গে তার বাবানুবাদ ঘটে। মাহতাব খাঁ রাজ্য ছেড়ে অণ্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। এই পর্যায়ে কাহিনীর ভেতর লেখক মাহতাব খাঁ ও অরুণাবতীর উপকাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন। রাজা প্রতাপাদিত্যের বিগত যৌবনা স্ত্রী দুর্গাবতীর কন্যা অরুনাবতী সেনাপতি খাঁ সাহেবকে ভালোবাসতো। রাণী দুর্গাবতীর সহায়তায় কন্যা অরুনাবতী মাহতাব খাঁর হাত ধরে পালিয়ে যায় এবং এক কাননে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। সেখানে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কলেমা পাঠ করে অরুনাবতী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়।
মূল কাহিনী এই পর্যায়ে আরও কিছু কিছু ঘটনা সংস্থান(situation) উপন্যাসে লক্ষ্য করা যায়। রাজা প্রতাপাদিত্যের সঙ্গে ঈশা খাঁর মল্লযুদ্ধের ঘটনা ঘটার উপক্রম হয় এক সময়। কিন্তু মাহতাব খাঁ প্রতাপাদিত্যেকে রক্ষা করে। এমতাবস্থায় ঈশা খাঁ প্রতাপাদিত্যের প্রাণরক্ষাকারী মাহতাব খাঁর সঙ্গে অরুনাবতীর বিয়ের প্রস্থাব দেয়। ধূর্ত, কপটচারী রাজা প্রতিশ্রুতি দেয় যে রাজ্যে ফিরে গিয়ে সে এই বিয়ের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু রাজা প্রতারণার আশ্রয় নেয় এবং জানায় যে বসন্তরোগে অরুনাবতী মারা গেছে । মাহতাব খাঁ এ খবর শুনে মর্ম বেদনায় দগ্ধ হতে থাকে।
নতুন ঘটনার প্রবাহ শুরু হয় পরবর্তী পর্যায়ে।
রাজা প্রতাপাদিত্যের সঙ্গে যুদ্ধের পর ঈশা খাঁ দূত মারফত স্বর্ণময়ীর সঙে তার বিয়ের প্রস্তাবা পাঠায়। কেদার রায় প্রথম দিকে সম্মত হলেও শেষ পর্যন্ত অন্য অনেকের প্ররোচনায় প্রস্তাবটি নাকচ করে দেয়। এ দিকে, ঈশা খাঁর মা ও হিন্দু রমনী স্বর্ণময়ীকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর জন্য পুত্রের ওপর ক্ষুব্ধ হয় এবং যথেষ্ট তিরষ্কারও করে। প্রসঙ্গত তার উক্তি প্রণিধান যোগ্য : “আমি প্রতিমাপূজক কাফেরের কন্যাকে কখনো ঘরে এনে বংশ কলুষিত করবো না। “
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘটনার মোড়লও ঘুরলো। দাক্ষিনাত্যের বিজাপুর যুদ্ধে ঈশা খাঁ মারাত্নকভাবে আহত অবস্থায় যখন শয্যাশায়ী তখন জনৈক ধর্ম গুরু শাহ-সাহেবের পরামর্শে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয় স্বর্ণময়ী। হেকিমের নির্দেশ অনুসারে স্বর্ণময়ী নিজের শরীর থেকে মাংস কেটে শল্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। স্বর্ণময়ী এ রকম সাহস ও স্বার্থত্যাগ এবং সর্বোপরি ঈশা খাঁর প্রতি অনুরাগ দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে পড়ে। ঈশা খাঁর মা-ও এতে বিশেষ ভাবে খুশি হয় এবং বিয়েতে শেষ পর্যন্ত সম্মতি প্রদান করে। ঈশা খাঁ সুস্থ হয়ে উঠলে স্বর্ণময়ীর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
Title রায়নন্দিনী
Author
Editor
Publisher
ISBN 9847016600515
Edition 1st Published, 2014
Number of Pages 111
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

3.75

4 Ratings and 0 Review

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)
loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off
Recently Viewed
cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

রায়নন্দিনী

ড. কামরুল আহসান (প্রফেসর)

৳ 86 ৳100.0

Please rate this product