ফ্ল্যাপে লিখা কথা সঙ্গীত ভালোবাসেন না এমন লোক সমাজে বিরল। সঙ্গীত মানুষের আত্নাকে বিশুদ্ধ করে। সংগতি বিশুদ্ধ করে দেশ ও জাতিকে। এক কথায় সংগীত একটি জাতির সংস্কৃতির বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। গীতিকবি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মোল্লা তাঁর শিক্ষাজীবনে এই অমোঘ সত্যিকে উপলব্ধি করেছিলেন এবং এরই সূত্র ধরে লেখালেখিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
গীতিকার হিসেবে তাঁর আত্নপ্রকাশ সত্তর দশকের শেষ ভাগে হলেও চূড়ান্ত উত্থান ঘটে আাশির দশকে এসে। তাঁর লেখা গানের পরিমাণ ইতোমধ্যে তিন হাজার ছাড়িয়ে গ্যাছে। যা তাঁর কালৈর অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় নি।
গান রচনায় ভাষার সহজ সরলতা থাকলেও এর মধ্যে রয়েছে গভীর অর্থময়তা। তাঁর নির্মাণশৈলী, শব্দের সাথে শব্দের বুনন ও বিষয়বস্তু নির্বাচনে রয়েছে যথেষ্ট মুন্সিয়ানা। যা সব শ্রেণীর পাঠক ও শ্রোতাদের আকৃষ্ট করে।
তাঁর গানে একদিকে যেমনি দেশ মাটি ও মানুষের কথা ফুটে উঠছে, তেমনি ফুটে উঠছে নর নারীর শাশ্বত প্রেম, বিরহ, দ্রোহ ও পারলৌকিক জীবনাবোধের কথা, যা আমাদের মূলধারার সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে।
‘শত গান শত সুর’, ‘আমার চেতনা আমার গান’ ও ‘আমার যত গান’ তারই ধারাবাহিকতা।