“বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ে কথা হয় যতাে, সেই তুলনায় বিশ্লেষণী আলােকসম্পাতী গ্রন্থ একান্ত অপ্রতুল। তদুপরি অর্থনীতি বিষয়ক লেখালেখির বড় অংশ ইংরেজিতে প্রকাশিত নিবন্ধ ও গ্রন্থ। জাতীয় বিকাশের সামাজিক-রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে অর্থনীতির রয়েছে ঘনিষ্ঠ যােগ । অন্যদিকে স্নাতক কিংবা উচ্চতর পর্যায়ে অর্থনীতি অধ্যয়ন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অথচ এসব চাহিদা পূরণে বাংলায় গবেষণামূলক গ্রন্থ। বিশেষ মেলে না। স্বাধীনতা-পরবর্তী চল্লিশ বছরে। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অর্থনীতির যে অগ্রগমন ঘটছে তার খতিয়ান গ্রহণ তাই নানা তাৎপর্য বহন করে । এই পরিবর্তনের বাকগুলাে কী, সাফল্য ও ব্যর্থতার ক্ষেত্র কী কী, বিকাশের পাশাপাশি সৃষ্ট বৈষম্য কোন সব জটিল সমস্যা জন্ম দিচ্ছে, সঙ্কট মােচন করে সম্ভাবনা। বাস্তবায়নে কোন পথে অগ্রসর হওয়া প্রয়ােজন, এমনি নানা দিক নিয়ে তথ্যমূলক বিশ্লেষণী আলােচনা করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতি গবেষক রুশিদান ইসলাম রহমান। শিল্প ও কৃষি খাত ছাড়াও গ্রামীণ শিল্প, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, শিক্ষা, জনসংখ্যা, নারী শ্রমশক্তি ইত্যাদি নানা বিষয় হয়েছে তার পর্যালােচনাভুক্ত। বাংলাদেশের। অর্থনীতির চল্লিশ বছরের পরিবর্তনময়তার সামগ্রিক পরিচয়বহ এমন গ্রন্থ বাংলাতে দুর্লভ। নির্দ্বিধায় বলা যায়, বিপুল পরিশ্রম ও তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা সহযােগে প্রণীত এই গ্রন্থ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে, সমাদৃত হবে অর্থনীতির। শিক্ষার্থী এবং সমাজ ও অর্থনীতি বিষয়ে চিন্তাশীল সকল পাঠকের কাছে।
রুশিদান ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেছেন। পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে। কিছুকাল অর্থনীতি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস-এ গবেষণা পরিচালক। ইতােপূর্বে কয়েকটি কিশােরপাঠ্য উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। অন্যতম আগ্রহের ক্ষেত্র রবীন্দ্রসাহিত্য।। রবীন্দ্রসাহিত্যবিষয়ক তার লেখা প্রবন্ধ সংকলন দেড়শতবর্ষ পরে : রবীন্দ্র ভুবনে প্রকাশিত হয়েছে।