“বাংলাদেশের নির্বাচিত ছড়া (১ম খণ্ড)" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বাংলা ছড়ার ইতিহাস হাজার বছরের। আবহমান বাংলার লােকালয়েই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মুখে মুখে সৃষ্টি এবং লালিত-পালিত হয়েছে অসংখ্য ছড়া। যার পােশাকি নাম— ‘লােকছড়া’। আলমগীর জলীল তাই নির্দ্বিধায় বলেন, ছড়া আমাদের লােকসাহিত্যের আদিমতম নিদর্শন। | যদি ছড়া আমাদের লােকসাহিত্যের আদিমতম নিদর্শনই হয়, তবে তাে একথা জোর দিয়েই বলা যায় যে, লােকছড়ার জন্ম তখন, যখন জন্ম হয়েছিল ভাষার। আর ভাষার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, পাশাপাশি, ছড়াও পাল্টেছে। সময়ের ব্যবধানে একই ছড়াকে তাই আমরা কয়েকটি পরিবর্তিত রূপে দেখতে পাই। ভবতারণ দত্তের বাংলাদেশের ছড়া’ শীর্ষক গ্রন্থে এর বিস্তর প্রমাণ রয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন লােকছড়া আবৃত্তি করা হত সুর করে। তখন এর পরিচিতি ছিল ছড়াগান হিসেবে। বাংলা লােকছড়াকে প্রথম সংকলিত করেন যােগীন্দ্রনাথ সরকার। সংকলনের নাম ছিল ‘খুকুমনির ছড়া’। যােগীন্দ্রনাথ সরকারের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছড়াকে সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করানাের লক্ষ্যে প্রবন্ধ রচনা করেছেন। কোনাে কোনাে গবেষক লােকছড়াকে সাতটি বিভাগে চিহ্নিত করার প্রয়াস পেয়েছেন।
Lutfur Rahman Reton পুরনো ঢাকার ওয়ারী এলাকায় তার শৈশব অতিবাহিত হয়। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে আবুজর গিফারি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন। তিনি ২০০১ খ্রিস্টাব্দে জাপানে বাংলাদেশের কালচারাল এটাশে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সাবেক সম্পাদক হিসেবে ছোটদের কাগজ (অধুনালুপ্ত); জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক ফার্স্ট সেক্রেটারি (২০০০-২০০১) ছিলেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ: ছড়া: ধুত্তুরি (১৯৮২); ঢাকা আমার ঢাকা (১৯৮৪); উপস্থিত সুধীবৃন্ধ (১৯৮৪); হিজিবিজি (১৯৮৭); তোমার জন্য (১৯৮৯); ছড়া ও ছবিতে মুক্তিযুদ্ধ (১৯৮৯); রাজাকারের ছড়া (১৯৯৯); শেয়ালের পাঠশালা (১৯৯২); রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মারকগ্রন্থ (২০০০); নেপথ্য কাহিনী (২০০১)। সম্মাননা ও স্বীকৃতি সিকান্দার আবু জাফর সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, অগ্রণী ব্যাংক শিশু ,সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮২, ১৯৯৬, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার ১৯৮৪, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৭