ফলমূল ও তরিতরকারির ব্যবসা করে রাতারাতি বড়লোক হয়ে ওঠা কায়েভ তার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এক পার্টির আয়োজন করেছে, সরকারি কৌসুলি ইয়োরগভ যতবার সোফিয়ার হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোঁড় ব্যক্তিটির নাম উচ্চারণ করছেন ততবারই তাঁর অন্তরের অন্তস্তল থেকে একটা প্রচণ্ড বিতৃষ্ণা পাক দিয়ে উঠছে। কায়েভ! এ দুনিয়ায় কেই-বা চেনে তাকে? এ ধরনের সাবেকি আমলের ফেরিওয়ালাদের তিনি একেবারে সহ্য করতে পারেন না। ঘরে বোনা মোটা কাপড় পরে এরা বুলগেরিয়ার সুদূর পল্লি অঞ্চল থেকে রাজধানীতে কাজের খোঁজে আসে। রাত কাটায় বস্তিতে, অবিক্রিত তরিতরকারি খেয়ে ক্ষুধা মেটায়। তারপর ধীরে ধীরে ধৈর্যের সঙ্গে ওপরতলায় ওঠার পথ অধিকার করে নেয়। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের স্বর্ণময় সূক্ষ্ম ছিদ্রপথটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তারা কঠোর পরিশ্রম আর সংগ্রাম করে যায়। তারপরই শুরু হয় প্রচুর ধন সঞ্চয়ের পালা। বিরাট বিরাট বাড়ি তৈরি করে, বিলাসবহুল প্রশস্ত ফ্ল্যাট কেনে, শহরের অভিজাত অধ্যুষিত এলাকায় অবসর-বিনোদনের জন্য প্রস্তুত করে মনোরম অট্টালিকা বা ভিলা। অতি ক্ষমতাসম্পন্ন যে মোটরগাড়ি তারা চড়ে তার চোখধাঁধানো সৌন্দর্য আর রূপ মানুষের ক্ষুব্ধ মনে ঈর্ষার সঞ্চার করে।