ফ্ল্যাপ অমিয়নাথ সান্যালের লেখা ‘স্মৃতির অতলে’ পড়ে মনে হবে মহান গায়কের সমান মাপেরই মহান শ্রোতা তিনি। পরক্ষণেই প্রশ্ন জাগবে এমন শ্রোতার নির্মিতির পটভূমি কি? উত্তর হবে, একটি বিশেষ সময়কালের কলকাতা মহানগরী। মোটামুটি মধ্য-উনবিংশ থেকে মধ্য বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত শতবর্ষকাল জুড়ে ব্যাপ্ত ছিল হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের ওই স্বর্ণপর্বটি, কলকাতা ছিল যার রাজধানী। সমগ্র দেশের সংস্কৃতির প্রতীক ওই শহরটির সমজদারদের ঘরে আয়োজিত সঙ্গীতগুণী। ফলে সেই আসরে শিল্পীর সৃজন চলত শুদ্ধ মেজাজে এবং সঙ্গীতে সৃষ্ট হতো পূর্ণ মহিমায়। প্রকৃতপক্ষে তেমনি সঙ্গীতগুণী-গৃহের ঐতিহ্যে তদানীন্তন কলকাতা নগরীর তুলনা ছিল না উপমহাদেশে। কলকাতার রাগসঙ্গীত চর্চার সেই স্বর্ণপর্বটির সাঙ্গীতিক জীবন অঙ্কিত হয়েছে সম্পাদকের তিয়াত্তর পৃষ্ঠা ভূমিকায়-ঘটনা ও রটনা সহকারে। ভূমিকা থেকে গ্রন্থের প্রবেশকস্বরূপ সন্নিবেশিত হয়েছে আলোচিত সঙ্গীতগুণীদের চব্বিশ পুষ্ঠার একটি অ্যালবাম-অমিয়নাথ সান্যালে ‘স্মৃতির অতলে’ সঞ্চিত গানের অসরের অমেজ সঞ্চারের প্রয়াসে।
সূচি সম্পাদকের ভূমিকা লেখকের ভূমিকা চিত্র স্মৃতির অতলে মৌজুদ্দিন স্মৃতির অতলে মৌজুদ্দিন স্মৃতির অতলে ফৈয়াজ খাঁ স্মৃতির অতলে কালে খাঁ