ভূমিকা কমপিউটার ভাইরাস! ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিরাট আতংক। কয়েক বছর ধরে কমপিউটার ব্যবহার করছেন অথচ ভাইরাসের সাথে সাক্ষাত হয়নি এমন ইউজার খুঁজে পাওয়া ভার। বিশ্বের নানা স্থান থেকে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন ভাইরাস। এসব ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। বর্তমান ইন্টারনেট প্রযুক্তির বদৌলতে নতুন ভাইরাসের জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের আনাচে কানাচে। ভাইরাস কী করে? কীভাবে করে? কেন সৃষ্টি করা হয়? ভাইরাস কি শুধুই ক্ষতিই করে? এটি কি হার্ডওয়্যারেরও ক্ষতি করতে পারে? ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় কী? ভাইরাসে সংক্রমিক হলে কী করতে হবে? ইত্যাদি প্রশ্নের জবাব নিয়ে এ প্রকাশনা। এসব প্রশ্নের জবাব ছাড়াও রয়েছে ভাইরাস সম্পর্কে খুঁটিনাটি আরও অনেক বিষয়। এছাড়াও জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইনস্টল ও ব্যবহার করার নিয়মও দেয়া হয়েছে এ বইতে। শুধু ভাইরাস নিয়ে বাংলাভাষায় এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রথম প্রকাশনা। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত শেষ করেছি। চেষ্টা করেছি ভাল করতে। অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় এ বিষয়ে তেমন কোন সহায়ক নেই বললেই চলে; তবু না দমে চেষ্টা করেছি আন্তরিকভাবে। বাংলাভাষাভাষীদের জন্য কমপিউটারের ব্যতিক্রমধর্মী এ প্রকাশনাটি উপহার দিতে পারায় মহান প্রভু আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। প্রকশনাটি আরো সমৃদ্ধ করতে বিজ্ঞ পাঠককুলের যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণীয়
মাহবুবুর রহমান
সূচিপত্র * কমপিউটার ভাইরাস * কমপিউটার ভাইরাসের সাথে জড়িত আর কিছু বিষয় * কমপিউটার ভাইরাসের প্রকারভেদ * কমপিউটার ভাইরাসের ইতিহাস * কমপিউটার ভাইরাসের পরিচিতি * মোবাইল ভাইরাস * এন্টিভাইরাস * কমপিউটার ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ট্রেজান হর্স ও অন্যান্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রামসমূহের তালিকা * সিআইএইচ ভাইরাস ও ডেটা রিকভারি
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।