ফ্ল্যাপে লিখা কথা শিল্প,সাহিত্য আর সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের মনে রয়েছে নানান জিজ্ঞাসা। প্রকৃতির সাথে মানুষের সৃজনভাবনার সম্পর্ক, লেখকের সামাজিক দায় এবং সত্যিকার অর্থে সাহিত্য-শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বিষয়েও প্রশ্নের কোনো শেষ নেই। আর লেখক কিংবা শিল্পী তার সমকালকে, সমাজকে কিংবা কোনো বিশেষ সাংস্কৃতিক জীবনধারাকে কীভাবে প্রভাবিত করে-এসব স্বাভাবিক ভাবনাও আমাদেরকে মাঝে মধ্যে চিন্তার অতলে ডুবিয়ে দেয়। কবিতার ক্যানভাস, কাহিনীর পরিসর ও জীবনচেতনা কিংবা সংগীতের সাধনা জীবনের জন্য যে কত বড় প্রয়োজন, তা বোধকরি আমরা কম লোকেই ভেবে থাকি। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে গেলে দরকার টাকা-কড়ির । আবার দেখা যায় নিবিড়বাবে, গভীরভাবে বেঁচে থাকতে হলে শিল্প-সংস্কৃতির আশ্রয় ও সাহচর্যের প্রয়োজন পড়ে। জীবনকে পরিমার্জিত করতে ,কল্পনা ও পরিকল্পনার সুন্দর সমন্বয় সাধন করতে গেলে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই । এই অনুভটুকুকে সামনে রেখে সাজানো হয়েছে বর্তমান গ্রন্থের কলেবর ও ক্যানভাস। পাঠক এই বইটিতে পাবেন সুধাপানের বিচিত্র উপাদান। আবার বইটি পড়তে পড়তে হয়তো কেউ কেউ প্রবেশ করবেন নিজেরই অনাবিষ্কৃত কোনো সৃজন-সম্ভাবনার উদার উঠানে। মূলত পাঠকের ভাবনা এবং কল্পনার ভুবটিকে জাগিয়ে দেওয়া আর সামান্য ভালোলাগার ছোঁয়া বিতরণ করার প্রয়াসে আমাদের এই বিনম্র পরিবেশনা। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভাষা-সাহিত্যের পঠন-পাঠনে, সভায় ও মঞ্জে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় এবং ব্যক্তির মনন বিকাশে এই বইটির হয়তো প্রয়োজন হতে পারে।