ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘হেকমত’ বলি আর ‘হিকমত’ নামেই অভিহিত করি, চীন-এর ‘শক্তি’র কোনো উনিশ বিশ হবে না। যে দেশটিকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিরা আফিম খাইয়ে একশো বছরের বেশি নির্জীব করে রেখেছিলো, সেই দেশ কোন জাদু বলে আজ পৃথিবীর অন্যতম পরাশিক্ত হতে চলেছে, তার কিছুটা পরিচয় মিলবে জিকরুর রেজা খানম এর ‘হেকমত চীন’ গ্রন্থে।
ভ্রামণিক জিকরুর রেজার আরো কয়েকটি ভ্রমণ বিষয়ক বই পদে দেখেছি। চোখের সামনে বয়ে যাওয়া বিষয় নয়, তিনি প্রবেশ করেন সে দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও মা্নুষের গভীরে; ফলে সে বই জ্ঞান লাভেরও আকার হয়ে ওঠে।
এর বাইরেও পাঠকের একটা প্রাপ্তি রয়েছে। তিনি প্রয়োজনে তুলনা টানেন স্বদেশের। তুলনাটা সামান্য বা নাতিদীর্ঘ হলেও পাঠকের সামনে বৈপরীত্যের দরজা খুলে যায় মুহূর্তেই , আর নিজের দেশকে চেনা, বোঝা ও জানা একটা সুযোগও ঘটে। এটা লেখকের শক্তিমত্ত্বারই পরিচয় বহন করে। আর লেখকের ‘সূক্ষ রসবোধ’? এই শক্তিটাইও কিন্তু ভালো ও বড় লেখকের পরিচয়বাহী। জিকরুর রেজা খানমের এই শক্তিগুলোই আমি তাঁর সম্পর্কে প্রবল আশাবাদী। এই শক্তিমত্ত্বার আরেক পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর হাঙ্গেরী ভ্রমণ সম্পর্কে। হাঙ্গেরী পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ; একটা সোভিয়েত বলয়ে থাকার কারণে দেশটি সম্পর্খে জানার সুযোগ তেন ঘটেনি। কিন্তু জিকরুর রেজার খানমের লেখার বৈশিষ্ট্যের কারণে হাঙ্গেরী যেভাবে মূর্ত হয়ে দেখা দেয়, তা নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত প্রাপ্তি। রফিক আজাদ