ফ্ল্যাপে লিখা কথা বু্দ্ধি ও বিবেচনা বোধের সাহায্যে আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ করি এবং যা আমাদের চলার পথকে সুন্দর ও কল্যাণময় করে তোলে তাই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি তথা আচরণ ভঙ্গিই আমাদের মনের আয়না। আমরা এ আয়নায় আমাদের সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার প্রতিচ্ছবিই দেখতে পাই। আমরা কি চাই? কেন চাই- আমাদের মনের ভেতরে কি রকমের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়- একমাত্র বৈজ্ঞাক দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে আমরা তার দৃশ্যপট খুঁজে পাই।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির বাস্তবতাকে স্বীকার করে কঠোর শ্রম, কাজের দৃঢ়তা এবং বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার দ্বারা আমরা যে কর্মে মনোনিবেশ করি তা আমাদের সফলতার শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
সূচিপত্র * মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি * বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সুফল * সমস্যা থেকে উত্তরণের বৈজ্ঞানিক উপায় * মানসিক চাপ থেকে কীভঅবে মুক্তি লাভ করবেন? * কর্মভিত্তিক মনোভাব * শ্রেষ্ঠ উপায়ে কাজ করুন * সফল ব্যক্তিদের বৈশিষ্ট্য * জয়ী হওয়ার সংগ্রাম * শ্রেষ্ঠত্ব ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধির উপায় * দৃঢ়তা বজায় রাখুন * সুখি জীবনের সন্ধানে * স্বপ্নকে জয়ের লক্ষ্যে পরচালিত করার মনোভাব * লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টি দিন * একটি শ্রেষ্ঠ জীবনের পরিকল্পনা * জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যের দিকে দৃষ্টি দিন * সুখি হওয়ার রহস্য * জীবনের প্রতি সঠিক নির্ণয় নিন * ভয়ের হাত থেকে মুক্ত হোন * সফলতা ও ব্যর্থতার প্রকৃত অর্থ কি? * একজন অসফল ব্যক্তির ভাবনা * অর্থহীন শব্দ বাজে কথার বাদশাহ * অসফলতার অজুহাত * অসফল ব্যক্তিদের অজ্ঞতা * দৃঢ় সংকল্প ছাড়া কাজ করা * দায়িত্বজ্ঞানহীনতা
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।