প্রাক্কথন ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর। তিনশ পয়ষট্রি দিনে একটি বছর। ইতিহাসের আলোকে প্রতিটি দিন-তারিখের রয়েছে বহুমাত্রিক গুরুত্ব। প্রাচীন যুগেই দিন-তারিখের ধারণা অর্জন করেছে মানুষ। চীনারাই প্রথম বর্ষগণনা শুরু করে। চীন ও আরবরা গণনা করতেন চন্দ্রবর্ষ। ইউরোপে শুরু হয় সৌরবর্ষ গণনা। ইউরোপিয়ানরা আরবদের কাছে ইতিহাসের জ্ঞান নিলেও পাঁচ হাজার বছর আগে থেকে চীন সম্রাটরাই দিনলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে শুরু করেন ইতিহাস। তবে প্রাচীনকালের রোমান ক্যালেন্ডার, জুলিয়াসের হাতে উন্নত হলেও পোপ গ্রেগরির হাতে লাভ করে বর্তমান রূপ। এই রূপেই এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রাচীন যুগের ইতিহাস ছিল রাজা-বাদশাদের ইতিহাস। মধ্যযুগে সেখানে স্থান করে নিতে শুরু করে রাজপরিবারের বাইরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কিন্তু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সে প্রয়াস ছিল সীমিত। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রতিদিন অজস্র ঘটনা ঘটলেও আধুনিক যুগে এসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ব্যাপকমাত্রায় লিপিবদ্ধকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে প্রতিদিন যত ঘটনা ঘটে তা লিপিবদ্ধকরণ এককথায় অসম্ভব। কিন্তু বিশেষ কিছু ঘটনা নানাভাবেই স্থান করে নেয় ইতিহাসের পাতায়।
তারিখ অভিধানের বিচ্ছিন্ন কিছু সঙ্কলন থাকলেও সেগুলো খন্ডিত এবং দুষ্প্রাপ্য। বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রয়োজনে একটি তারিখ অভিধান বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য তো অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনের তাগিদেই জন্ম-মৃত্যু-আবিষ্কার-প্রতিষ্ঠার দিন নিয়ে রচিত এ তারিখ অভিধান। মাজেদুল হাসান ঢাকা ৭ মে ২০১৩ খ্রি.