জীবনবোধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রজীবন থেকে কবিতা চর্চা শুরু করে একদিন কবি হয়ে ওঠেন শফিক হিরো। তিনি গ্রামের সবুজ নৈসর্গিক আবহে জীবন কাটাতে গিয়ে জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-অকাক্সক্ষা, স্বপ্নসহ বহুবর্ণিল বিষয়কে কাব্যে রূপ দিয়েছেন। তার লেখায় উঠে এসেছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিরাজমান অসংলগ্নতাসহ গ্রামবাংলার শত বৈচিত্র্যময় নয়নাভিরাম দৃশ্য। কবিতার জন্য তিনি কখনো ছুটে গেছেন কুলকুল বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা ও শুলাই নদীর তীরে, আবার কখনো ইতিহাস হাতড়ে চলে গেছেন একাত্তরের সেই রক্তঝরা কণ্টকী জনপদে। দেশাত্মবোধ উদ্বুদ্ধ কবি সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অসংগতিকে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত সহজ-সাবলীল ভাষায়। তাইতো ‘সতর্ক বার্তা’ কবিতায় তিনি লিখেছেনÑ সাবধান খোকা! সামনে রাজাকার! পশু সে তো পশু শয়তান সে তো শয়তান কিন্তু রাজাকার ভদ্রবেশী মানুষরূপী এক বিবেকহীন ভয়ংকর সীমার ওদের কথায় মধু, রূপে জাদু। এ গ্রন্থের বেশির ভাগ কবিতায় বাংলাদেশের মাটি, মানুষ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিশদ বিবরণ প্রতিফলিত হয়েছে। তরুণ কবি শফিক হিরোর এটি প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় রচিত ৬৪ পৃষ্ঠার এ কাব্যগ্রন্থে ৪৯টি কবিতা স্থান দখল করেছে।
শফিক হিরো’র জন্ম ১ই জানুয়ারি ১৯৭৬, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ছোটনদী শুলাই ও কালিগঙ্গার ক‚লঘেঁষা ব্রী-কালিয়াকৈর গ্রাম। পিতা মো. ইমান আলী; তিনি স্বনামধন্য একজন অধ্যক্ষ ছিলেন। মাতা আনোয়ারা বেগম। গ্রামের নৈসর্গিক আবহে কাটিয়েছেন শৈশব ও কৈশোর। সবুজ নির্জনতার সেই আবহে রয়েছেন এখনও। জীবনবোধ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহিত্য চর্চা করেন ছাত্রজীবন থেকে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিরাজমান পীড়াদায়ক অসংলগ্নতা তার কবিতায়, উপন্যাসে মূর্ত হয়ে ওঠে।