Rahim Shah-১৯৫৯ সালের ৩রা অক্টোবর চট্টগ্রামের পশ্চিম বাকলিয়ায় রহীম শাহ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদিবাস চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার মোহাম্মদপুরের কাজীবাড়ি। কে. এম. আবদুস শুকুর এবং সৈয়দা রিজিয়া বেগমের পঞ্চম সন্তান তিনি। পেশায় সাংবাদিক। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম কর্মী রহীম শাহ শিশু ও পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা শাপলা দোয়েল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং এনসিসি (নেচার কনজারভেশন কমিটি)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। প্রধানত শিশু-কিশোর সাহিত্যের লেখক। ১৯৭০ সাল থেকে লেখালেখির শুরু। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পত্রপত্রিকার নিয়মিত লেখক। এ-পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৫২। সাহিত্যকর্মের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে সম্মানিতও হয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পুরস্কার, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান স্বর্ণপদক, মওলানা ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার, জসীমউদ্দীন স্মৃতি পুরস্কার, আবদুল আলীম স্মৃতি পুরস্কার, শিশু-কিশোর নাট্যম শিশুসাহিত্য পুরস্কার, আমরা কুঁড়ি শিশুসাহিত্য পদক, চন্দ্রাবতী একাডেমী শিশুসাহিত্য সম্মাননা, কথন শিশুসাহিত্য পদক, কবি কাজী কাদের নওয়াজ স্মৃতি স্বর্ণপদক, কবি গোবিন্দচন্দ্র দাশ সাহিত্য সম্মাননা এবং নওয়াব ফয়জুননেসা স্বর্ণপদক-এ ভূষিত হয়েছেন।
এই বইটিতে মোট পৃষ্ঠা রয়েছে ৩২ টি। বইটিতে লেখক বিমান আবিষ্কার ও তার ক্রম বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছেন ।বইটি অনেক সরল ভাষায় লেখা হয়েছে বলে আমার মনে হয় ক্লাস থ্রি-ফোরের ছেলে মেয়েরাও এটি পড়লে উপকৃত হতে পারবে । বইটির প্রথমেই বিমান আবিষ্কারের আগে মানুষের আকাশে উড়ার যে তীব্র আকাঙ্খা ছিল তার বিবরণ রয়েছে ।এরপর 'প্রথম অভিযান' নামক প্রচ্ছদে লেখক আকাশ জয়ের লক্ষে মানুষের প্রথম পদক্ষেপ কি ছিল তার বর্ণনা করেন ।প্রথম যে আকাশযান আবিষ্কৃত হয় তার নাম ছিল 'ডিরিজিবল' ।এ যানের খুঁটিনাটিও এই প্রচ্ছদেই ।তারপর এই আকাশযানের উত্তরোত্তর উন্নতি হতে থাকে এবং তার নামে পরিবর্তন হতে থাকে । এক সময়ে এর নাম হয় গ্লাইডার ।তবে এটির দুর্ঘটনার সম্ভবনা খুব বেশি ।এই সম্পর্কে বর্ণনা আছে গ্লাইডার প্রচ্ছদে ।এরপরের প্রচ্ছদের নাম হচ্ছে 'যুগান্তকারী সূচনা ' ।এখানেই রয়েছে রাইট ভ্রাতাদ্বয়ের উড়োজাহাজ আবিষ্কারের প্রথম সংকল্পের লেখনি ।কিভাবে যে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও রাইট ভ্রাতাদ্বয় উড়োজাহাজের উন্নতি সাধন করছিল ?আসলে তাদের ছিল প্রচুর ইচ্ছা শক্তি ।এরপরই শুরু হয় 'যুদ্ধে আকাশযানের ব্যবহার' ।'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও বিমান' প্রচ্ছদে কোন দেশ কোন বিমানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করে তার বর্ণনা ।এরপর এল 'জেট যুগের যুদ্ধবিমান' এর গল্প ।এ বিমানগুলো ছিল বিধ্বংসী ।এ বিমান করেই প্রথম একজন চালক পারমানবিক বোমার যে গোপন পরীক্ষামূলক বিষ্ফোরণ চালিয়েছিল রাশিয়া তার খোঁজ পাওয়া যায় ।তার পরবর্তী প্রচ্ছদে রয়েছে 'বিশ্বযুদ্ধের পরে' বিমানের উন্নতির বর্ণনা ।এরপর রয়েছে 'হেলিকপ্টার' ও 'দ্রুততম বিমান' পরিচয় ।'রকেট' প্রচ্ছদে রয়েছে রকেট আবিষ্কারের কাহিনী । বইটিতে বিমান আবিষ্কারের ইতিহাস অনেকটা গল্পের মতো লেখা হয়েছে ।বইটা পড়ে আমি অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে, এত কম কথায় কিভাবে বিমানের আবিষ্কার ও এর উন্নতির সুদীর্ঘ অথচ পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লেখা সম্ভব...