ফ্ল্যাপে লিখা কথা কথাসাহিত্যিক রুহুর আমিন বাচ্চু মূলত লেখেন বড়দের জন্যে। লেখেন গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, নাটক, রম্যরচনাসহ নানা বিষয়। কথাশিল্পী হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি তাঁর আস পোক্ত করে নিয়েছেন। বড়দের লেখায় তিনি যেমন স্বাচ্ছন্দ্য তেমনিই ছোটদের লেখায় সিদ্ধহস্ত। এ বইয়ের গল্পগুলো তারই প্রমাণ। নিছক কোনও গল্প নয়-বিষয় নির্বাচন ও উপস্থাপনায় প্রতিটি গল্পই অন্য রকম। তাঁর দেখার দৃষ্টি যেমন গভীর তেমনই লেখার ভঙ্গি সরল। ঘোরপ্যাঁচে কাহিনী জটিল করে না। যা দেখেন তুলি ধরেন সহজ করে। যা ছোটদের লেখার জন্য জরুরি। গল্পের চরিত্রগুলো আকাশ ফুঁগে নামে না। আমাদের চারপাশের চরিত্রগুলো উঠে আসে তাঁর লেখায়। পরম মমতায় কাহিনী ফুটিয়ে তোলেন। পাঠককে নিয়ে যায় চেনাজানার এক অচেনা জগতে। সে জগতে হাসি থাকে। কান্না থাকে। মায়া-মমতা থাকে। আর থাকে ভালো লাগার মধুর ছবি। কাহিনীর ভাঁজে ভাঁজে থাকে মজা আর মজা। আর থাকে শিক্ষণীয় অনেক মজার কিছু। তিনি তাঁর গল্পে শোনান সমুদ্রের শোঁ শোঁ গর্জন। দেখান বিশাল নীল আকাশ। আর দেখান জোনাকির আলো। গাছের জন্য, ফুলের জন্য, প্রজাপতির জন্য তৈরি করেন ভালোবাসা। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার করেন পাঠককে। লেখায় মজা করা এই লেখকের সহজাত গুন-যা পড়ে মজা লাগে। মজা করতে করতে লেখক তাঁর মূল কাজটি সেরে ফেলেন প্রতিটি গল্পে। জাগিয়ে তোলেন ছোটদের মন ও মনন। পাঠকমাত্রই পেয়ে যায় ভিন্ন এক স্বাদ। ভিন্ন এক জগৎ। লেখকের সহজপাঠ্য লেখনীয় গুণে গুল্পগুলো হয়ে উঠেছে সহজপাঠ্য। শুধু ছোটদেরই নয়, গল্পগুলো বড়দেরও ভালো লাগবে। খুঁজে পাবেন ফেলে আসা শৈশব। -আশরাফুল আলম পিন্টু