“বিসিএস পাটিগণিত সমাধান (বিসিএস পরীক্ষার্থী এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পদে চাকরি প্রার্থীদের জন্য” বইটির ভূমিকাঃ পাটিগণিত গণিতশাস্ত্রের একটি শাখা। পাটি শব্দের অর্থ ক্রম, শৃঙ্খলা বাপ্রণালী। সুতরাং যে গণিতে যােগ, বিয়ােগ, গুণ, ভাগ প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়৷ তাকেই পাটিগণিত বলা হয়। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থায় ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত পাটিগণিত অন্তর্ভুক্ত ছিলে। এর পর মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে পাটিগণিত বিষয়টি তুলে নেওয়া হয়। রোজ ভি বর্তমান আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাটিগণিত চালু রয়েছে। পাটিগণিত গণিতশাস্ত্রের এমন একটি বিষয় যা চর্চা না থাকলে অনেকেই ভুলে যায়। পাটিগণিত বিষয়টি মাধ্যমিক স্তরে অর্থাৎ এসএসসি পর্যায়ে না রাখার কারণে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক ও এবং পরবর্তী পর্যায়ে গিয়ে ভুলে যায়, যদিও এসময় তাদের এ বিষয়টি প্রয়ােজন না হলেও পরবর্তী সময়ে ভীষণ প্রয়ােজন হয়। মাধ্যমিক পর্যায় থেকে পাটিগণিত তুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের কাছে এর যথেষ্ট প্রয়ােজনীতা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের যেমন এর প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে, তেমনি মাস্টার্স পাস শিক্ষার্থীদেরও এর গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন, একজন বিসিএস পরীক্ষার্থীর জন্য পাটিগণিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পাটিগণিতের অঙ্ক| থাকে। আবার সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে নিয়ােগের ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও পাটিগণিত অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ ছাড়া প্রাইমারি শিক্ষক| নিয়ােগ পরীক্ষায়ও পাটিগণিতের অঙ্ক প্রশ্নপত্রে থাকে। | তাই বিসিএস শিক্ষার্থী এবং সরকারি-বেসকারি বিভিন্ন পদে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আমাদের এই প্রয়াস। বইটি তাদের উপকারে এলে আমাদের এই শ্রম ও প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করি। সূচিপত্র প্রথম অধ্যায় : মৌলিক সংখ্যা, গসাগু, লসাগু সেট মূলাদ, অমূলদ,পরিমাপ দ্বিতীয় অধ্যায় : ঐকিক নিয়ম তৃতীয় অধ্যায় : ক. অনুপাত ও সমানুপাত চতুর্থ অধ্যায় : শতকরা হিসাব ও এর ব্যবহার » ১৩৭; পঞ্চম অধ্যায় : ক্ষেত্র পরিমাপ ষষ্ঠ অধ্যায় : পরিসংখ্যান ও জনমিতি