ফ্ল্যাপে লিখা কথা জন্মের সার্ধশতবর্ষ পরেও রবীন্দ্রনাথকে জানার আগ্রহের কমতি নেই, আলোচনার শেষ নেই। বিশেষ করে, ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জানার এবং বোঝার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ ও মানবকল্যাণ চিন্তার আলোয় বাংলাদেশ আর দেশের মানুষকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবার প্রসঙ্গটি কোনো কোনো লেখক আবার সামনে তুলে নিয়ে আসছেন।
নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর তাঁদেরই একজন যিনি মাটি ও মানুষেল রবীন্দ্রনাথকে জানবার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজেকে তৃণমূল মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন মাটির কাছের মানুষ মনে করেন। তাই ‘ছিন্নপত্রে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ এবং অন্যান্য’ বইতে অনেকটািই অজানা ও অচেনা মাটির কাছের রবীন্দ্রনাথকে পাঠকের সামনে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। শতবর্ষ আগে জমিদারিরর দায়িত্ব পালনকালে রবীন্দ্রনাথ কর্মসূত্রে বাংলাদেশে ভ্রমণ এবং অবস্থানকালে যে গভীর অন্র্তদৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষকে দেখেছেন নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর তাঁর বর্তমান বইতে রবীন্দ্রনাথের সেই বাংলাদেশকে নতুন করে জানতে আর জানাতে চেয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাংলাদেশের গ্রাম দেখার বিরল উপলব্ধি ইন্দিরা দেবীকে চিঠিতে অনেকটা নিয়মিতই লিখেছিলেন। প্রকৃত অর্থে চিঠিগুলোকে তাঁর বাংলাদেশ ভাবনা বলা যায়। এই চিঠিগুলোতে তখনকার পূর্ববাংলা, পূর্ববাংলার মানুষ আর বাংলাদেশকে অকৃত্রিম, অনাড়ম্বর উন্মোচন ঘটিয়েছেন। তখনকার বাংলাদেশের মুখটি রবীন্দ্রনাথ কেমন দেখেছিলেন সেই ছবিটি পাঠক ‘ছিন্নপত্রে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ’ নামের নিবন্ধে পাবেন। আমরা দেখতে পাব, রবীন্দ্রনাথ জমিদারির দায়িত্বপালন করতে এসে গভীরভঅবে বাংলাদেশকে অনুভব করেছিলেন এবং এদেশের দরিদ্র মানুষগুলোকে ভালোবেসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ-ভাবনার আলোকে রবীন্দ্রসাহিত্যের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে যারা পুনর্বার ভাবতে চান তাঁদের জন্য এই লেখা মূল্যবান এক দলিল বলে বিবেচিত হবে।
সূচিপত্র * রবীন্দ্রনাথের মর্ত্যভূমি * মাটির কাছে রবীন্দ্রনাথ * হিতৈষী জমিদার রবীন্দ্রনাথ * ছিন্নপত্রে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ
নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর। জন্ম : ১৯৬৫। জন্মস্থান : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দক্ষিণ তারুয়া। শৈশব গ্রামের ধুলােবালি-জলকাদায় ঋদ্ধ। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা : দক্ষিণ তারুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, ফিন্যান্স বিভাগ, ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের ইউনানী-আয়ুর্বেদ চিকিৎসাব্যবস্থার পলিসি পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে পিএইচডি অভিসন্দর্ভ মৌলিক গবেষণাকর্ম হিসেবে প্রশংশিত হয়েছে।