আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুনের ৬০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে (১লা জুলাই ২০১৩)। এই সাক্ষাৎকারের গ্রন্থটি শ্রাবণ প্রকাশনীর পক্ষ থেকে শিল্পীকে সম্মান জানানোর ব্যতিক্রমী প্রয়াস। আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে নাসির আলী মামুন যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ তার ক্যামেরায় বন্দি খ্যাতিমানদের দুর্লভ সব পোরট্রেটগুলো। এগুলো সংরক্ষণ, বিশেষ করে স্থায়ী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত। নাসির আলী মামুন ‘ফটোজিয়াম’ নামে নিজেই একটি আলোকচিত্রের জাদুঘর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন। সন্দেহ নেই, এই সাক্ষাৎকারপর্বের গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে। প্রথমত: সাক্ষাৎকারটি ব্যতিক্রমী। তারপর বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে কীভাবে আন্তর্জাতিক মানের একজন প্রকৃত শিল্পী হয়ে উঠলেন নাসির আলী মামুন তার বিশদ বর্ণনা আছে, যা গল্পের মতো পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত।
লেখক পরিচিতি প্রামাণ্য আলোকচিত্রের নির্মাতা মুনেম ওয়াসিফের জন্ম ১৯৮৩ সালের ১১ এপ্রিল। পাঠশালা থেকে ফটোগ্রাফিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ইংরেজি ডেইলি স্টার পত্রিকায় ফিচার আলোকচিত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু। পরে কয়েক বছর দৃক নিউজ-এ কর্মরত ছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে প্যারিসের আলোকচিত্রের এজেন্সি ভূঁ-এর সঙ্গে যুক্ত। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জনপদের লবনাক্ত পানির ওপর তার আলোকচিত্রনের কাজগুলো দেশ ও বিদেশে প্রশংসা অর্জন এবং তাকে আন্তর্জাতিক পুরস্কার এফ টোয়েন্টিভাইভ ফ্যাবরিকা এনে দেয়। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর যুপ সোয়ার্ট মাস্টারক্লাস পুরস্কার পান ২০০৭-এ।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৭ম আন্তর্জাতিক ছবিমেলার অন্যতম কিউরেটর ছিলেন। মুনেম ওয়াসিফ ও তানজিম ওয়াহাব যৌথভাবে কামরা নামে ফটোগ্রাফির একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ সম্পাদনা করেন যা বছরে মাত্র একটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে পুরনো ঢাকা নিয়ে আলোচিত্রনের কাজ করছেন তিনি, যা এ বছর সেপ্টেম্বরে ফ্রান্স থেকে বই আকারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।