ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের গণতহ্যা ১৯৭১-এর মুক্তিাযুদ্ধের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় এখানে প্রায় দশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। এই গণহত্যায় প্রথম শহীদ হন চিকন আলী মোড়াল। তাঁর ছেলে এরশাদ আলী মোড়ল বাবার লাশ খুঁজতে এসে দেখে পথে-পথে শুধু লাশ আর লাশ। রক্ত, ক্ষত-বিক্ষত লাশ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মানুষের অঙ্গ-প্রতঙ্গ। আর স্বজন হারানো মানুষগুলোর কান্না, চিৎকার। তিনি তাঁর বাবার লাশ খুঁজতে-খুঁজতে এক সময় আসনে ভন্দ্রা নদীর তীরে।নদীতেও শত-শত মানুষের লাশ ভাসছে। তিনি নদীর পা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় আসেন বিলের ধারে। এখানে তিনি একটি করুণ দৃশ্য দেখতে পায়। অসংখ্য লাশের মধ্যে এক মা তার পরম আদরের সন্তানকে হাত দিয়ে বুকের সঙ্গে চেপে ধরে আছে। মা মৃত কিন্তু সন্তানটি তখনও মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছে। মানুষের সিঁথিতে সিঁদুর আর হাতে শাঁখা।এরশাদ আলী শিশুটিকে তুলে আনে এবং নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে। ১৯ বছর বয়সের সময় বাটুল দাসের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। সুমন্ত রায় এমন একটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে প্লট হিসেবে নিয়ে এ উপন্যাস লিখেছেন। এ উপন্যাস আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশনা ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।