"নূরানী হাফেজী কোরআন শরীফ ফেন্সী"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ১। হযরত রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “তােমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিখায়, সে ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠতম।” –ববাখারী। ২। হুযূরে আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, (ফরয এবাদতের পর) “কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করাই সর্বোত্তম এবাদত।” – কানযুল ওম্মাল ৩। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “তােমরা সর্বদা কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করিতে থাক। কেননা, যাহারা রীতিমত কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে, কিয়ামতের দিন কোরআন শরীফ তাহাদের জন্য সুপারিশ করিবে।” অর্থাৎ, তাহাদিগকে দোযখের আযাব হইতে বাঁচাইয়া দিবে। -মুসলিম। ৪। হুযূরে আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “যে ব্যক্তি কোরআন শরীফের একটি হরফ পড়ে, সে একটি নেকী লাভ করে । আর একটি নেকী দশ নেকীর সমান। (সুতরাং কোরআন শরীফের একটি হরফ পাঠে দশ নেকী পাওয়া যায়।) আমি বলি না যে,একটি হরফ ; বরং ' একটি হরফ, ‘’ একটি হরফ এবং ' একটি হরফ।এই হিসাবে , শব্দটি পাঠ করিলে মােট ত্রিশ নেকী পাওয়া যাইবে। ৫। হুযূরে আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ শিক্ষা করিয়াছে এবং উহাতে যাহা আছে তদনুযায়ী আমল করিয়াছে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাহার পিতামাতাকে এমন একটি নূরের মুকুট পরাইয়া দিবেন, যাহার আলাে সূর্বে আলাের চেয়েও অধিক উজ্জ্বল হইবে। অতএব, যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ শিক্ষা করিয়াছে ও তদনুযায়ী আমল করিয়াছে, তাহার নিয়ে অবস্থা যে কত উন্নত হইবে, বল দেখি সে সম্বন্ধে তােমাদের কী ধারণা ?” –আহমদ, আবু দাউদ ৬। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “যাহার অন্তরে কোরআন শরীফের কিছু অংশও নাই, উহা যেন একটি উজাড় ঘর।” – তিরমি ৭। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “কোরআন শরীফ মুখস্থ পড়ায় এক হাযার সওয়াব। আর দেখিয়া পড়ায় দুই হাযার সওয়াব।” – বাইহাক্বী, শােআবুল ঈমান। ৮। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, “যে ব্যক্তি কোরআন শরীফ পাঠ করিবে ও হেফয করিবে এবং উহার হালালকৃতকে হালাল এবং হারামকৃতকে হারাম জানিবে” (অর্থাৎ, কোরআন শরীফের বিরােধী কোন আকীদা পােষণ না করে, তাহলে) আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে বেহেশতে স্থান দিবেন। আর তাহার আত্মীয়বর্গের মধ্য হইতে এমন দশ