ভূমিকা হুজুর (সা.) এর পবিত্র বাণী, যে ব্যকিত মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে না। অধম(লেখক) কয়েক মাস পূর্বে দুইটি গ্রন্থ লিখেছিলাম যা প্রকাশিত হয়েছে । আল্লাহ্ ভাল করে জানেন তা কেন মকবুল হয়েছে? বাহ্যিকভাবে গ্রন্থ দুটির গ্রহণ যোগ্যতার কোন বিষয় দেখতে পাই না। শুধু এতটুকু মনে হয়, যে উক্ত গ্রন্থ দুটির ভাষায় ফার্সি ও আরবীর কঠিন শব্দ নেই এবং এর ভাষা এত সহজ ও সাবলীল যে, মহিলাগণ এবং গ্রামের কম শিক্ষিত মানুষও এর এক একটি শব্দকে শুনে অথবা পড়ে স্বাভাবিক ভাবে বুঝতে পারে। বরং কিছু মহান ব্যক্তি গ্রন্থকে এত বেশি পছন্দ করেছেন যে, নিজের শিশু সন্তানদেরকে একটি একটি করে অধ্যায় পড়ানো শুরু করে। যেন শিশু সন্তানদের মনের মধ্যে প্রথম থেকেই বিষয়গুলো বসে যায়। এবং ভবিষ্যতে স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের মৌলিক স্বাদ পেতে পারে। এর ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা দেখে হযরত মাওলানা হাফেজ মকবুল সাহেব গাঙ্গুলী (তিনি তিনি আমার শিক্ষক এবং আমার পীর সাহেবের প্রথম খলীফা) বলেন, অনুরূপভাবে সাবলীল ভাষায় নামায সম্পর্কে এমন একটি গ্রন্থ লিখি, যাতে নামাযী ও বেনাযাজী সবার জন্য উপকারী হয়। আমি তাঁর নির্দেশ পালনার্থে এ গ্রন্থ লেখা শুরু করি। সবচে বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি হাফেজ মকবুল সাহেবের প্রতি, তিনি আমাকে এ গ্রন্থ রচনায় অনুপ্রেরণা যোগায়। এবং সেই সাথে আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ঐ সকল লেখক ও গবেষক যাদের বিভিন্ন বই ও লেখনী হতে উপকৃত হয়েছি। যার মধ্যে হযরত মাওলানা ইব্রাহিক সাহেব গেহলবীর গ্রন্থ সবচেয়ে বেশি দার্শনিক বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ। তার পর হযরত হাকিমুল উম্মাত মাওলানা থানবী এবং হুজ্জাতুল ইসলাম, ইমামুল হিন্দ শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী। আল্লাহ্ তায়ালা তাঁদের কবরকে নূর দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিন। এবং আল্লাহ্র পবিত্র ও বরকতময় ব্যক্তিবর্গের ওসিলায় এ গ্রন্থকে কবুল করুন। আমিন। মুহাম্মদ ইদ্রীস আনসারী