ফ্ল্যাপ কাদের জন্য লেখা, সে কথাটা না বললেই নয়। এই সংকলনে রয়েছে সব বয়সী মানুষের জন্য গল্পের ঝুলি। যতো পড়া যাবে, ততোই ভালো লাগবে। সেসব গল্প সবার ভালোলাগা নিয়ে লেখা। এতে আরও আছে উপন্যাস। উপন্যাসগুলোয় খুঁজে পাওয়া যাবে আব্বু, আম্মু, দাদু, নানু, স্কুলের স্যার, ম্যাডাম আর মামা, চাচা যাদের আমরা ভালোবাসি, তাদের সবাইকে। তাদের সঙ্গে ছোটদের অভিযান, সাহসী বন্ধূদের কাণ্ডকারখানা, মুক্তযুদ্ধের স্মৃতি, আরও কত কি। সে এক নতুন জগত। আর একটা কথা। নাটকওতো রয়েছে এই সঙ্গে। দেশকে চেনা, বিদেশকে জানা আর মজার মজার লেখায় হাসি খুশীতে ভরা এই কিশোর সমগ্র সারা দেশের সব বয়সী পাঠকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য এক অনন্য উপহার। ছোটোরা নিজেরা এসব নাটক শুধুই পড়বে না, নিজেরা অভিনয় করেও আনন্দ পাবে। সবার ভালোলাগা নিয়ে, আরো অনেক লেখা নিয়ে নতুন নতুন বই আসছে সবার হাতে পৌছে দেবার জন্যে। তবে, সেই খুশীর খবরটার সঙ্গে প্রথমে শিশু কিশোর সমগ্র পৌছে দিলাম। এতে আমাদেরও দারুণ ভালো লাগছে।
ফ্ল্যাপ উপন্যাস বাবুই পাখির বাসা ইনানীর সাগরে কিশোর কথা অচিন পথের বন্ধু মোরা ঘুম ভাঙ্গানো নদী মন ছুটেছে বিশ্ব জয়ে ভূতুরে জাহাজে শুভ আদর পেল যন্তর উঠলো জেগে অন্তর রুপমের চিড়িয়াখানা গল্প মনুয়া আর পিঁপড়েরা স্বপ্নের বাক্স আর মিরির কাণ্ড বাজিকর সবুজ সুরের ঝর্ণাধারা ছোট্ট একটা নাম রাত দুপুরের বন্ধুরা নানুর সোনালী ঝাঁপি হঠাৎ আলোর রঙিন ঝাঁলর দুষ্ট বল আর লালমিয়া চাঁদের পাথর খোলা আকাশের বন্ধুরা হরিণ ছানার মা পি কক্ কক্ বন্ধু আমার ছোট্ট এক কাঠবেড়ালী অনীক ও তার বাবা বন বাগানের গল্প হিং টিং ছট্ চিড়িয়াখানা নাটক নতুন যুগের ভোরে শ্যামল দেশের বন্ধু মোরা পদ্ম ফোঁটা দিনের ছবি
জুবাইদা গুলশান আরা (জন্ম ১৯৪২ - মৃত্যু ২০১৭) একজন গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও শিশুসাহিত্যিক। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুহাম্মদ ইউনুস ও মা আঞ্জুমান আরা। তার শৈশব কাটে প্রথমে ভারতের কোলকাতায় ও পরে দার্জিলিং কার্সিয়ং কালিম্পংয়ের পাহাড়ে। তার শিক্ষাজীবনের শুরু হয় টাঙ্গাইল জেলার বিন্দুবাসিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। কর্মজীবন শুরু করেন ভিকারুননিসা নূন গার্লস স্কুলে শিক্ষকতার দিয়ে। ১৯৬৪ সালে ইডেন মহিলা কলেজ-এ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১১ সালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রকাশ করেন বাংলা গানের অ্যালবাম 'গান আমার পরশমণি'।