তিনটি ক্লাসিক কাহিনি একত্রে ভলিউম আকারে প্রকাশিত হলো। বিচ্ছিন্ন একটা দ্বী, সেখানে আছে অত্যন্ত সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ কিনা বোঝা যায় না প্রথমে। অদ্ভুত, রহস্যময় ঘটনার সঙ্গে পরিচয় ঘটল লেখকের...‘ডক্টর মরোর দ্বীপ’ এর কাহিনি এভাবেই শুরু হয়েছে। জাহাজ কিংবা স্টিমার নয়, ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার এক দুঃসাহসিক অভিযাত্রা শুরু হলো। লেখক থর হেয়ারডল , ও সঙ্গে আরও পাঁচজন দুঃসাহসী সঙ্গী । শেষ পর্যন্ত তারা কি এই অভিযানে সফল হতে পেরেছিল...? ‘কনকিটি অভিযান’ পড়লে উত্তর মিলবে সবকিছুর। এখানে ‘রুদ্র প্রয়োগের চিতা’ থেকে সামান্য তুলে দিচ্ছি: ছাগলটার কাছ থেকৈ মাচান মাত্র বিশ ফুট দূরে। কিন্তু গাঢ় অন্ধকারের জন্য ছাগলটার কিছুই আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ বুজে শব্দ শুনতে পাওয়ার জন্যে মনো নিবেশ করাই এই অবস্থায় শ্রেয়। ছোট্র একটা টর্চ লাইট ফিট করা ছিল রাইফেলের নলে। বলাই বাহুল্য, নলটা ছাগলটার দিকে ফেরানো ছিল। হঠাৎ গাছের গোড়া থেকে কী যেন একটা ছুটে গেল আর সেই সাথে জোরে বেজে উঠল ছাগলের গলার ঘণ্টাটা টর্চের বোতামের উপরই আঙুলটা ছিল। বোতামটা টিপতেই দেখলাম রাইফেলের নিশানা চিতার কাঁধে ঠিকঠাক মত সই হয়ে রয়েছে। ট্রিগার টিপে দিলাম। গুলির শব্দ উপত্যকার মধ্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে এক সময় মিলিয়ে গেল। ঘরের দরজা খুলে চেঁচিয়ে প্রশ্ন করল পণ্ডিত, আমার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা। জবাব দেবার মত অবসর ছিল না আমার। পণ্ডিত বেশিক্ষণ অপেক্ষা না করে তাড়াহুড়া করে বন্ধ করে দিল তার দরজা....তিনটি ক্লাসিক কাহিনির এই ভলিউমটি যে পাঠকপ্রিয়তা পাবে, কতা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পুরো নাম হারবার্ট জর্জ ওয়েলস। বৃটিশ। জন্ম ১৮৬৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। কমার্শিয়াল এ্যাকাডেমিতে লেখাপড়া করেন ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত। সার্টিফিকেট নেন বুক-কিপিং অর্থাৎ পদ্ধতিমাফিক হিসাব রাখার বিদ্যায়। ১৮৮০তে শিক্ষানবিসি করেন উইন্ডসরের এক বস্ত্ৰ-ব্যবসায়ীর কাছে। ঐ বছরেই ছাত্র-শিক্ষক ছিলেন সমারসেটের একটি স্কুলে। ১৮৮০-৮১তে শিক্ষানবিস কেমিস্ট ছিলেন সাসেক্সে। ১৮৮১-৮৩ তে শিক্ষানবিস বস্ত্ৰ-ব্যবসায়ী ছিলেন হ্যাম্পশায়ারের হাইড্রস এম্পেরিয়ামে। ১৮৮৩-৮৪তে ছাত্র-সহকারী ছিলেন মিডহাস্টগ্রামার স্কুলে। ১৮৮৪-৮৭তে পড়াশুনা করেন লন্ডনের রয়াল কলেজ অফ সায়ানেস-কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেন নি পরীক্ষায়। শিক্ষকতা করেন ১৮৮৭-৮৮ সালে রেক্সহ্যামের হােল্ট এ্যাকাডেমিতে এবং ১৮৮৮-৮৯ সালে লন্ডনের হেনলি হাউস স্কুলে। ১৮৯০তে বি. এসসি ডিগ্রি পান ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে। দুই বিয়ে। প্রথম বিবাহ হয়। চাচাতো বোন ইসাবেল মেরি ওয়েলসের সঙ্গে ১৮৯১ সালে—বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে ১৮৯৫-তে। ঐ বছরেই দ্বিতীয় বিবাহ হয় এ্যামি ক্যাথরিন রবিন্সের সঙ্গে। দ্বিতীয় স্ত্রী মারা যান ১৯২৭ সালে। দুই পুত্র। লেখক এ্যান্টনি ওয়েস্টও তাঁর পুত্ৰ-মা ছিলেন লেখিকা রেবেকা ওয়েস্ট। ১৮৯১-৯২তে শিক্ষকতা করেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি টিউটােরিয়াল কলেজে। পুরো সময়ের লেখক হন। ১৮৯৩ সাল থেকে। ১৯২২ এবং ১৯২৩-এ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের পক্ষে পার্লামেন্টের লেবার নির্বাচনপ্রার্থী হন। ১৯০৩ থেকে ১৯০৮ পর্যন্ত ছিলেন ফেবিয়ান সোসাইটির সদস্য। ১৯৩৬-এ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পান ডক্টরেট অফ লিটারেচার সম্পমান। লন্ডনের ইম্পিরিয়েল কলেজ অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনলজির সম্পমানজনক সদস্যপদে থাকার পর দেহাবসান ঘটে ১৯৪৬ সালের ১৩ আগস্ট।